বছরের প্রথমার্ধে ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ৮১ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম (জানুয়ারি-মার্চ) এবং দ্বিতীয় (এপ্রিল) প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকটির মুনাফায় ৮১ শতাংশের বেশি ভাটা পড়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ব্যাংকটির প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। এর আগে গতকাল রোববার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই দুই প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন
প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে দেখা যায়, চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে ইসলামী ব্যাংরেক শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ২ টাকা ২২ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকটি চলতি বছরের এজেন্ডাসমূহে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখও এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ হিসাব বছরে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা হয়েছে ৬৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ৩ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরে আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটি মুনাফা কমেছে ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিগত সরকারের সময়ে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাদে অন্যগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। যদিও ইসলামী ব্যাংক থেকেও অনেক লুটপাট হয়েছে বিগত বছরগুলোতে। অন্তবর্তী সরকারের সময়ে নতুন নেতৃত্বে এসে ব্যাংকটি আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
তবে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত হিসাব বছরে ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত বিনিয়োগের বিপরীতে ৬৯ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতি রেখেই নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার কারণেই ব্যাংকটি সামান্য পরিসরে হলেও মুনাফা দেখাতে পেরেছে।
এমআইচ/এমএসএ