বড় পতন থেকে রক্ষা পেল পুঁজিবাজার

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন দিনের শুরুতেই বন্ধ করা না হলে এই পতন আরো বড় হতো।
এদিন অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ও শরিয়াহ কোম্পানিগুলোর সূচক কমেছে। তবে বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ারের সূচক স্থির রয়েছে। কমেছে এক্সচেঞ্জটির সার্বিক লেনদেনের পরিমাণও।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে আজ মোট ৩৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির। বিপরীতে কমেছে ২৫১টির। আর ৩৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১২৭টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪৯টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৭৫টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৯ পয়েন্টে কমে ৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে নেমেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিলো ৪ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস আজ দিনের ব্যবধানে ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের মতো ১ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে স্থির রয়েছে।
ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৬৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এদিন মোট ৪১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গতকাল ৪৮৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত হওয়ায় বাজার বড় পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে। যদি, লেনদেন শুরুর আগেই স্টক এক্সচেঞ্জ এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন স্থগিত না করতো, তাহলে পুরো বাজারে বড় পতন হতে পারতো। হয়তো অনেক বিনিয়োগকারী না বুঝেই এই শেয়ারগুলোতে নতুন করে বিনিয়োগ মাধ্যমে লোকসানে নাম লেখাতো।'
এমএমএইচ/জেডএস