সপ্তাহের শেষদিনে পুঁজিবাজার আরও তলানিতে

চলতি সপ্তাহের অন্য কার্যদিবসগুলোর ধারাবাহিকতায় শেষদিন বৃহস্পতিবারও (১৮ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটে দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক কমেছে। এর মধ্যে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমে একমাস আগের অবস্থানে নেমেছে। গত তিন কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় এদিন এক্সচেঞ্জটির লেনদেনও আরও তলানিতে নেমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, বিপরীতে ২৫৪টির দর কমেছে। আর ৬৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৪৫টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫৪টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫৫টি সিকিউরিটিজ রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় আজ ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৩১ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকটির এই অবস্থান গত ১৭ নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ওইদিন লেনদেন শেষে সূচকটি ৪ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে ছিল।
এছাড়া, আজ ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৮ পয়েন্ট কমে ১০০১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১৮৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৩৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে (বুধবার) ৩৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, মঙ্গলবার বিজয় দিবসের বন্ধ, সোমবার ৪১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং রোববার ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের মধ্যে আজ ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। শুধু চলতি সপ্তাহে নয়, আজকের লেনদেন গত ৭ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ওইদিন ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ সবগুলো মূল্যসূচক কমেছে। এর মধ্যে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে নেমেছে। আজ এক্সচেঞ্জটিতে মোট ১৩৫টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য ৩৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭৬টির এবং ২৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে আজ ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গতকাল ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে ছোট পরিধির এই স্টক এক্সচেঞ্জেও লেনদেন কমেছে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এমএমএইচ/এমএসএ