ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি বাড়ানোর দাবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের রফতানি ও আমদানির মাল চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও তদারকি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি।
একই সঙ্গে ঢাকার মিরপুর বেড়িবাঁধের ধউর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে এ দুই সংগঠন।
রোববার (১১ জুলাই) বিজিএমইএ অফিসে মহাসড়কে পোশাক শিল্পের রফতানি ও আমদানির মাল চুরি প্রতিরোধ করা এবং পণ্য পরিবহনে সেবার মান কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা হয়। এতে বক্তারা পোশাক শিল্প এবং পরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এবং ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ বকতিয়ার, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম ও কাভার্ডভ্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মহাসড়কে চুরি-ডাকাতি রোধে প্রত্যেক কারখানা কর্তৃক নিজ নিজ পণ্য ট্রাক-কাভার্ডভ্যানে তুলে দেওয়ার আগে গাড়ির চালক ও সহকারী (হেলপার), গাড়ির নম্বর ও গাড়ি চলাচলের জরুরি ডকুমেন্টগুলোর ছবি তুলে রাখা কথা বলা হয়। এছাড়া মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায়শই পোশাক খাতের রফতানি ও আমদানির মাল চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে একদিকে সংশ্লিষ্ট কারখানা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে ক্রেতার কাছেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। যার আর্থিক মূল্য নিরূপণ করা অসম্ভব।
মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে সকল ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে ট্র্যাকিং ডিভাইস, জিপিএস স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতিকে অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি। ট্রাক-কাভার্ডভ্যানবাহী পণ্যের কার্টন যেন বৃষ্টিতে ভিজে না যায়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
আলোচনায় উঠে আসে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ সেতুর সংস্কারের বিষয়টি। ১২ জুলাই রাত ৮টা থেকে ১৪ জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত উক্ত ব্রিজের উভয় লেন বন্ধ থাকবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এই মেরামত কাজ ঈদের ছুটিতে সম্পাদনের অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। কারণ মেরামতের সময় সব পরিবহনকে ১০০ কিলোমিটার বিকল্পপথে ঘুরে যেতে হবে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হবে ও জনদুর্ভোগ বাড়বে।
কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে পোশাক শিল্পের উৎপাদিত পণ্যগুলো বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে পড়ে থাকছে দিনের পর দিন। উৎপাদিত যে পোশাকগুলো কাভার্ডভ্যানে করে কন্টেইনার ডিপোতে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে সেগুলো নামিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই।
ট্রাক-কাভার্ডভ্যানগুলোকে পণ্য বোঝাই অবস্থায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত দিন। এতে করে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি বিজিএমইএ সভাপতিকে অনুরোধ জানান।
এমআই/ওএফ/জেএস