কাঁচামরিচ ও শিমের দাম কমেছে, বেড়েছে শসা মুরগির

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৩৭ পিএম


দুদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি শিমের দাম কমেছে ৩০-৪০ টাকা। আর ২০-৩০ টাকা কমেছে কাঁচামরিচের দাম। তবে এই সময়ে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে ডাল, শসা ও মুরগির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় বাড়ছে ডাল, মুরগি এবং শসার দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা বাজার থেকে বেশি দামে কিনে আনছি, তাই বিক্রিও করছি বেশি দামে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাঁচামরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। তবে কেউ এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি কিনলে বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়; যা এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা কেজিতে। একইভাবে দুই দিন আগেও ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে।  

Dhaka Post

বাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মানিক মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টি ও বন্যা কমে যাওয়ার ফলে শিম ও কাঁচামরিচের দাম কমছে। তিনি বলেন, এখন বাজারে শিমের আমদানি বাড়ছে তাই দামও কমছে।

শিম ও মরিচের দাম কমলেও বেড়েছে শসার দাম। গতকাল বুধবার হাইব্রিড শসা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে। আজ বৃহস্পতিবার ৫-১০ টাকা বেড়ে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে।

এছাড়া মূলত আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজি। এর মধ্যে কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। বেগুন ৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা,পটল, ধুন্দল, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, করলা, কাকরোল। আর উস্তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। সবচেয়ে কম দামে পেঁপে আর আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে।

মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজিতে। দুদিন আগেও এ ডাল বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। আর চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে।

ডালের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল ও তেল। বোতলের লিটারপ্রতি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫২-১৫৩ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়।  

Dhaka Post

আর চালের মধ্যে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ভালো মানের মোটা চাল ৫২, নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৬৮, বাংলামতি ৭৩ থেকে ৭৫, পাইজাম আতপ ৬৩ থেকে ৬৫, মিনিকেট চিকন ৬৬ থেকে ৬৮, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। তিনদিন আগেও ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা পিস, আর মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। হালিপ্রতি লেয়ার মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪০ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। আর হাঁস কিংবা দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা হালিতে। তবে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭৫ টাকায়।

দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজিতে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। এর মধ্যে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে। প্রকারভেদে ৯০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা বড় দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা কেজিতে।

এমআই/এনএফ

Link copied