আয়কর দিবসের র্যালি এবারও করবে না এনবিআর

চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনসমাগমের ঝুঁকি বিবেচনায় এবারও আয়কর দিবসের র্যালি করবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আগামী ৩০ নভেম্বর দিবসটি উপলক্ষে সব আয়কর অফিস সজ্জিত করা ও সেমিনার বা আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (১৭ অক্টোবর) এনবিআরের জনংযোগ দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ২০২০ সালেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আয়কর দিবসে র্যালিথেকে বিরত ছিল এনবিআর।
এ বিষয়ে এনবিআরের কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের নেতৃত্বে ওই সভায় আয়কর দিবস ও সেরা করদাতার আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস উপলক্ষে র্যালি না করলেও দিবসে সব আয়কর অফিস সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একইভাবে সেমিনার বা আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
এছাড়া জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং টেলিভিশন চ্যানেল আয়োজিত টক শোতে অংশগ্রহণ করবেন কর কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির বিবেচনায় আয়কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। তবে করদাতাদের সুবিধার্থে সব কর অঞ্চলে পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে আয়কর মেলার সুবিধা দেওয়া হবে। করদাতাদের সেবা নিশ্চিত করতে ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে দেশে উদযাপিত হচ্ছে আয়কর দিবস। যদিও আগে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস উদযাপিত হতো। তবে ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর। এদিন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ারও শেষ দিন।
নির্ধারিত সময়ের পরে দুই শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ গুনতে হবে করদাতাদের। তবে বিলম্ব সুদ পরিশোধ করে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যে কোনো করদাতা ইচ্ছে করলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার বরাবর আবেদন করা হলে তিনি আয়করদাতাকে দুই মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন।
আরএম/জেডএস