ট্রেক ছাড়বে ডিএসই

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নতুন করে ট্রেক (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রেকের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও ট্রেজারি বন্ড বেচাকেনা বাবদ লেনদেন করা যাবে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয় দেশের প্রথম ও নেতৃত্বদানকারী স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ, স্কিম, বিধিমালা ও প্রণিধানমালার বিধানাবলী মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে সিকিউরিটিজ লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিকিউরিটিজ লেনদেন অধিকার সম্বলিত সনদ, ট্রেক ইস্যু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন তথা মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা সংক্রান্ত আইনে ট্রেক ইস্যুর বাধ্যবাধকতা আছে।
গত বছরের ২৫ মার্চ ডিএসইর সম্মতি নিয়ে ট্রেক সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা প্রকাশ করেছিল বিএসইসি। এতে ট্রেক পেতে পাঁচ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি ও এক লাখ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া কমপক্ষে তিন কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন ও দুই কোটি টাকা জামানতের কথা বলা হয়েছিল তাতে।
ডিএসইর মতামত নিয়ে ওই খসড়া প্রকাশ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে ডিএসইকে লিগ্যাল নোটিশ দেয় ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
এ পরিস্থিতিতে নতুন ট্রেক ইস্যুর ব্যাপারে কিছুটা পিছটান দেয় বিএসইসি। করোনার অজুহাত দেখিয়ে গত বছরের ২৯ এপ্রিল বিএসইসির কমিশন বৈঠকে ট্রেক ইস্যু বিধিমালার খসড়ার বিষয়ে নতুন করে জনমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে আইনটির বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য গত বছরের ১৪ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় বিএসইসি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ডিএসই মতামত পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে সক্ষম হয়। এই সিদ্ধান্তে সব স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালক একমত। আর সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরে তারা আনন্দিত।
এদিকে ট্রেক ইস্যু সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (ডিবিএ) সন্তুষ্ট। তারা এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
এমআই/ওএফ