নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয়ের সীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০১ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম


নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয়ের সীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয়ের সীমা ২০২২ সালেই শেষ নয়, শেষ হবে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভবনে মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

দুই পক্ষের এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এ সময় বৈঠকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সঙ্গে বৈঠকে পু্ঁজিবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+১ চালু করা, নেগেটিভ ইকুইটি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক এবং ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, আজকের সভায় পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সভায় কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। 

আলোচনা সভায় কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা গুজবে কান দিয়ে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে জন্য  সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। 

এছাড়া সভায় নেগেটিভ ইকুইটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নেগেটিভ ইকুইটি মানেই সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া বোঝায় না। এটার অর্থ হলো প্রতিষ্ঠানগুলোর বুকস অব অ্যাকাউন্ট সমন্বয় করা। আর শেয়ার বিক্রি না করেও এটা করা যায়। তবে নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয় করার জন্য ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর সময় শেষ হচ্ছে, এটা ঠিক নয়।

তিনি আরও বলেন, সভায় লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+১ চালু করারসহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+১ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণকে মার্চেন্ট ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং যাচাই বাছাই সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএমবিএর প্রতিনিধিরা।

এছাড়া পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজ করার পেছনে নেগেটিভ ইকুইটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ানো এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ভীতিকে দায়ী করা হয়। নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয়ে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত সময় বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে বলে গুজব ছড়ানো হয়। অথচ নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয়ে সময় সীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে।

এমআই/এসকেডি

Link copied