লভ্যাংশ সামান্য বাড়লেও মুনাফা কমেছে ইসলামিক ফাইন্যান্সের

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৯ মে ২০২২, ০১:০২ এএম


লভ্যাংশ সামান্য বাড়লেও মুনাফা কমেছে ইসলামিক ফাইন্যান্সের

শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তাতে ২০০৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ শেয়ারধারীরা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২১ সালের জন্য মোট ১ টাকা ৫ পয়সা করে মোট ১৪ কোটি ৭৩ ৪৩ হাজার ৩ টাকা পাবেন।

রোববার (৮ মে) কোম্পানির ৩০৬তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির সচিব এস কিউ বজলুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। সভায় আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরে ইসলামী ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগের বছর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা। সেই বছর শেয়াহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ বিদায়ী বছরের আগের বছরের তুলনায় লভ্যাংশ শেয়ার প্রতি ৫ পয়সা বাড়লেও মুনাফা বা আয় কমেছে ২২ পয়সা করে।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রম অনুমোদনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ জুন। ওই দিন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে বেলা ১১টায় ২১তম এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে।

২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৫ টাকা ৩১ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা।

এদিকে নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইসলামিক ফাইন্যান্সের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩০ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ১১ পয়সা করে।

এমআই/ওএফ

Link copied