বন্যা : সিলেটের অধিকাংশ ব্রোকার হাউজে লেনদেন বন্ধ

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের অধিকাংশ ব্রোকার হাউজে লেনদেন হয়নি। পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাউজগুলোতে লেনদেন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) তথ্য মতে, সিলেট জেলায় মোট ৩৫টি ব্রোকার হাউজের ৪২ শাখা রয়েছে। এই ৪২ শাখার অধিকাংশ শাখায় বোরবার (১৯ জুন) লেনদেন হয়নি।
সিলেটের চৌহাটায় অবস্থিত এবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নিচতলা পর্যন্ত পানি। ফলে ব্রোকার হাউজটিতে লেনদেন হয়নি। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন শাখার দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম।
চৌহাটা এলাকায় এবি সিকিউরিটিজ ছাড়াও বানকো, বিডি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, ডেটন হল্ডিংস, হ্যাক, আইডিএলসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, পিএফআই, রশিদ সিকিউরিটিজ, সালটা ক্যাপিটাল, শেলটেক ব্রোকারেজ এবং ইউনাইটেডে ফাইন্যান্স ট্রেডিং লিমিটেড অবস্থিত। আজ এসব ব্রোকার হাউজের বেশিরভাগ হাউজেই লেনদেন হয়নি। এছাড়াও জিন্দাবাজার, সিলেট, জেলগেট, বিশ্বনাথসহ আরও চারটি এলাকায় ব্রোকার হাউজ রয়েছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজারের বিডি সানলাইফের ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান শেখ মো. ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৌলভীবাজার এলাকায় ৩টি ব্রোকার, তিনটিতেই লেনদেন হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানির কারণে সিলেটের ব্রোকার হাউজগুলোতে লেনদেন বন্ধ ছিল।
এদিন ডিএসইতে ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ১৯ টাকা।
এমআই/জেডএস