ভেঙে দেওয়া হলো সিমটেক্সের পর্ষদ, আসছে নতুন নেতৃত্ব

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:১০ এএম


ভেঙে দেওয়া হলো সিমটেক্সের পর্ষদ, আসছে নতুন নেতৃত্ব

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিমটেক্স ইন্ডাস্টিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিমটেক্সের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

বিএসইসির তথ্য মতে, কোম্পানির বর্তমান পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে স্বতন্ত্র ৩ পরিচালককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরা হচ্ছেন-আকরাম হোসেন, শাহ মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ ও মনোনীত পরিচালক শরীফ শহিদুল ইসলাম। তবে স্বতন্ত্র পরিচালক হাফিজুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহমান সাকিব বোর্ডে থাকছেন।

এর আগে, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা পোস্টে ‌‘সিমটেক্সে পিকে হালদারের বন্ধুর হাত, বাঁচানোর আকুতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসে। সংবাদের সত্যতা পেয়ে সিমটেক্সের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

এদিকে কোম্পানি জানিয়েছে, বর্তমানে আকরাম হোসেন নামের কোনো স্বতন্ত্র পরিচালক কোম্পানিতে নেই। তবে আগের বোর্ডে ছিলেন তার জায়গায় মেজর জেনারেল ছারোয়ার হোসেনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে কোম্পানির চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যানসহ ৫ সদস্য আসছে পর্ষদে

তিন স্বতন্ত্র পরিচালকের পরিবর্তে নতুন করে ৫ স্বতন্ত্র পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ করছে বিএসইসি। নতুন পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ দেবনাথ, দ্যা জুরিস্ট ঢাকা বাংলাদেশের পাটনার কাওসার আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম, ব্যবসায়ী আবিদ আল হাসান ও শেখ মামুন খালেদ। এই ৫ জনই স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে শেখ মামুন খালেদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১টি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৮ শতাংশ নগদ (অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৮০ পয়সা) লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কোম্পানির তথ্য মতে, ২০২২ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯৭ পয়সা। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ৩৯ পয়সা। সেই বছর কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ৭ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগের বছর ২০২১ সালে মুনাফা হয়েছিল ৭ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বুধবার কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয় ১৪ টাকায়। ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির বর্তমান ঋণ ৯১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এমআই/ওএফ

Link copied