পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাল বিমা খাত

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০১ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০৭ পিএম


পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাল বিমা খাত

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দেশের পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাল বিমা খাত। এদিন এ খাতের ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। শুধু তাই নয়, দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানই বিমা খাতের।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতসহ বেশিরভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমলেও ধস থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। এদিন উভয় বাজারে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও সূচক। ফলে টানা দুদিন দরপতন হলো।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের দিনের মতই বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয়, যা চলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এই সময়ে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল। তবে এরপর থেকে বিমা খাতের শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে।

বিমা খাতের পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিসহ বড় মূলধনী কোম্পানির দাম বেড়েছে। তাতে দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে সাত পয়েন্ট। এর আগের দিন সূচক কমেছিল ৯৫ পয়েন্ট।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে আট পয়েন্ট। এর আগের দিন কমেছিল ৩০২ পয়েন্ট। সেই হিসাবে বুধবার কেবল বিমা খাতের তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির মধ্যে ৩৮টির দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ধস থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। এদিন ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ছয়টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দরপতনের পেছনে করোনা ইস্যু কাজ করেছে। মানুষ এখন ভয়ে আছে, কার কখন কী হয়! ফলে নগদ টাকা হাতে রাখছে। বেশিরভাগ মানুষ একসঙ্গে শেয়ার বিক্রি করে টাকা উত্তোলনের ফলে বাজারে দরপতন হয়েছে।’

ডিএসইর তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২৭০ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক ১১ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৬০ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হচ্ছে- দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, নিটল, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, সিএপিএমআইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পুরবী জেনালেন ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রহিমা ফুড ও মার্কেন্টাইল লিমিটেড।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বেক্সিমকো, রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকো ফার্মা, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, লাফার্জহোলসিম, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মা ও সিটি ব্যাংক লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই আট পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ২০৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। এ বাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এমআই/আরএইচ

Link copied