বড় লোকসানে হাক্কানি পেপার, ইপিএস বেড়েছে এসএস স্টিলের

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৫ মে ২০২১, ১২:০১ পিএম


বড় লোকসানে হাক্কানি পেপার, ইপিএস বেড়েছে এসএস স্টিলের

প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে বড় লোকসানে পড়েছে হাক্কানি পেপার অ্যান্ড পাল্প লিমিটেড। ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোম্পানিটির গত জানুয়ারি-৩১ মার্চ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যা বুধবার (৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২০ সালে এক কোটি ৯০ লাখ শেয়ারধারীদের জন্য নগদ ২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হাক্কানি পেপার নতুন অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) বড় লোকসানে পড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে ‌প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৩ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছিল ৩৪ পয়সা।

তিন প্রান্তিক বছরের ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় লোকসান হয়েছিল ৮২ পয়সা। তাতে ৩১ মার্চ-২০২১ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির এনএভি হয়েছে ২৫ টাকা ১৭ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ২৫ টাকা ৮২ পয়সা।

কোম্পানিটির মালিকানার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের রয়েছে ৪৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার রয়েছে ১০ দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ শেয়ার।

প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব মোহামদ মুসা ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা কমেছে। ফলে লোকসানও বাড়ছে কোম্পানিটির। কিভাবে লোকসান ওভারকাম করা যায় এই বিষয়ে পর্ষদ কাজ করছে বলে জানান তিনি।

তৃতীয় প্রান্তিকে এসএস স্টিলের ইপিএস ৬৯ পয়সা
জানুয়ারি-৩১ মার্চ, ২০২১ সালের সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের এসএস স্টিল লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েব সাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ বছরের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৮ শতাংশ বোনাস আর মাত্র নগদ ২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানি চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৯ পয়সা। আর নয় মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা।

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় প্রান্তিতে এককভাবে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ৩৬ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১ এককভাবে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির একক ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।

গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে পুনঃমূল্যায়ন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৭ টাকা ২২ পয়সা, আর পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৫২ পয়সা।

৩০ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার শেয়ারধারীদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার।

এমআই/এসএম

Link copied