তমিজুদ্দিন টেক্সটাইলসহ ওটিসি ফেরা ৪ কোম্পানির তদন্ত করছে ডিএসই

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৪৮ পিএম


তমিজুদ্দিন টেক্সটাইলসহ ওটিসি ফেরা ৪ কোম্পানির তদন্ত করছে ডিএসই

ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে মূল মার্কেটে ফেরা চার কোম্পানির শেয়ার কারসাজি (স্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির) খতিয়ে দেখতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে কারসাজি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কোম্পানি চারটি হলো- তমিজুদ্দিন টেক্সটাইল, মুন্নু ফেব্রিক্স, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। 

তিনি বলেন, ওটিসি থেকে ফেরা চার কোম্পানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি কী কারণে হয়েছে, এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক বাস্তব চিত্র তুলে ধরবে ডিএসই। এছাড়া প্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল (পিএসআই) তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করবে। এর পেছনে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৩ জুন প্রায় সাড়ে ১১ বছর পর ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফের লেনদেন শুরু হয় চারটি কোম্পানির। চার কোম্পনির মধ্যে তমিজুদ্দিন টেক্সটাইল লিমিটেডের দাম সাড়ে ১৪ গুণ বেড়ে সোমবার লেনদেন হয় ১৭৯ টাকা। শেয়ারটি ১৩ জুন লেনদেন শুরু হয়েছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সায়।

অপর কোম্পানি মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেডের শেয়ার ১৬ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে ২৯ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপারের শেয়ার ১৬৩ টাকা বেড়ে আজ ২২৩ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের ১৩ জুন শেয়ারটি লেনদেন শুরু হয় ৬০ টাকায়।

তিন মাসে পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার ১৯ টাকা থেকে ১৯৬ টাকা বেড়ে ২১৫ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এর আগে বছরের পর বছর ব্যবসায়িক কার্যক্রম না থাকা, এজিএম না করা এবং শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৯ সালের অক্টোবরে বিএসইসির নির্দেশে এ চার কোম্পানিসহ জেড ক্যাটাগরিভুক্ত ৫১ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করা হয়। এরপর আরও অন্তত ২০ কোম্পানিকে একই কারণে তালিকাচ্যুত করা হয়েছিল। তারও আগে ১৯৯৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৩৩ কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়েছিল। কমিশন গত মাসে সর্বশেষ ইউনাইটেড এয়ারকে ওটিসিতে পাঠিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ (সাবেক নাম সজিব নিটওয়্যার) এবং চলতি বছর সোনালি পেপারকে মূল মার্কেটে ফেরানো হয়।

এমআই/জেডএস

Link copied