‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ইতিহাসকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল’

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে ইতিহাসকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ঘাতকরা জানত না, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে যিনি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন তাকে মাটি চাপা দিয়ে নিঃশেষ করা যাবে না।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরও ঘাতকরা থেমে থাকেনি। তারা বিভিন্ন সময় তাকে ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছে। বারবার মীমাংসিত কিছু বিষয়কে সামনে এনে জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করতে চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুর যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন, সেটি ধর্মহীনতা নয় বরং ধর্ম পালনে স্বাধীনতা। আমার ধর্ম আমার জাতীয়তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু নয়৷আমার সংস্কৃতিকে ছুঁড়ে ফেলার, নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ আমার আবহমানকালের যে সংস্কৃতি তাকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বহুমুখী নীল নকশার বাস্তবায়ন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বিশ্ব মোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ৷ তখনকার অনেক সাম্রাজ্যবাদী দেশ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল৷ গণহত্যাকে সমর্থন করেছে, অস্ত্র দিয়েছে৷ এমনকি আমাদের স্বাধীনতাকে ঠেকানোর জন্য সাগরের সপ্তম নৌবহরও পাঠিয়েছে৷
বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের দাবির বৈধতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শোষিতের গণতন্ত্রের কথা বলেছেন৷ বলেছিলেন বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত শোষক ও শোষিত৷ আমি শোষিতের পক্ষে৷ তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন৷ গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন৷ তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিতে হবে৷ ন্যায়পরায়ণ হিসেবে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ৷
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো.আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আরএইচটি/এসকেডি