ইউজিসিতে গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালা
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২১-২২ অর্থবছরে কলা ও মানবিক শাখার গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়নে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৩৬টি গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন (রিসাপা) ডিভিশন এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। রিসাপা ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ইউজিসি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। মানবকল্যাণ ও জীবনমুখী গবেষণা পরিচালনা করা এবং ইনোভেটিভ এডুকেশন ইকোসিস্টেম তৈরির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারি ও আর্থিক মন্দার মধ্যেও সরকার গবেষণা খাতে কোনো ধরনের বরাদ্দ কমায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক দিল আফরোজ দেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ সদ্বব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষকদের অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রূপরেখার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যাতে উদ্ভাবন, গবেষণামুখী ও প্রযুক্তি নির্ভর হয় সেজন্য ইউজিসি গবেষণা নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালায় গবেষণা পরিচালনায় অর্থ বরাদ্দ ও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরত্বারোপ করা হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে রিসার্চার ডেমোগ্রাফি বা গবেষকদের ডাটাবেজ তৈরি হবে। এই ডাটাবেজ থেকে গবেষকের সংখ্যা ও কোন বিষয়ে মোট কত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে সেটির সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। এটি উন্নত বাংলাদেশ বিনিমার্ণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির হোসেন তালুকদার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম জসিম উদ্দিন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এসএম
