সরকারের আর্থিক অনুশাসন মানতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসির আহ্বান
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে একাধিক আর্থিক অনুশাসন জারি করেছে। দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এসব আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিধিমালাসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) টিমের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অংশীদারদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। এছাড়াও ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এনআইএস এর বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. মামুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ইউজিসি’র প্রশাসন বিভাগের যুগ্মসচিব জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর।
প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে স্থান পেতে হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসনের অভাব থাকলে দক্ষ মানবসমম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হবে। ফলে আমাদের গ্রাজুয়েটদের পক্ষে বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।
তিনি শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা তৈরি এবং তা ওয়েবসাইটে আপলোড করার আহ্বান জানান। বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে বলেন। এছাড়াও যথাসময়ে পিআইসি ও পিএসসি সভা আয়োজনসহ সময়মতো চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
এ সময় ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, নৈতিকতা, সততা ও আচরণগত মানদণ্ড ঠিক রেখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে সব ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিজ নিজ কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। যার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
কর্মশালায় এপিএ বাস্তবায়ন বিষয়ে বক্তব্য দেন ইউজিসি এপিএ টিমের ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীর। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্টরা এতে নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
কর্মশালায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান। এছাড়াও এতে অংশগ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ৩ জন প্রতিনিধি এবং ইউজিসি’র ১৭ জন কর্মকর্তা।
এমএম/এফকে