জিপিএ-৫ পেয়েছেন ঢাকা কলেজের ১০৮১ শিক্ষার্থী

ঢাকা কলেজে থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০৮১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৮৬৫ জন, মানবিক বিভাগের ১০৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ১১১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে ফলাফলের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিক ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট ১১৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ১১৫১ জন, ফেল করেছেন ২ জন। মূল পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১ জন। সব মিলিয়ে পাশের হার ৯৯.৮৩ শতাংশ।
বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৭৬ জন। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮৬৫ জন, জিপিএ-৪ পেয়েছেন ০৯ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছেন ১ জন।
মানবিক বিভাগে ১৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৫ জন, জিপিএ-৪ পেয়েছেন ৩২ জন এবং জিপিএ ৩.৫০ পেয়েছেন ১ জন শিক্ষার্থী। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১১ জন, জিপিএ-৪ পেয়েছেন ২৮ জন শিক্ষার্থী।
ঢাকা কলেজের পাঠ পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই সুন্দর একটি ফল করা সম্ভব হয়েছে। তবে আরো ভালো ফল করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এ বছর নির্বাচনী পরীক্ষা না হওয়ার কারণে আমাদের যাচাই-বাছাই করাটা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা পরবর্তী ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। আশা করি তাদের ফল আরো ভাল হবে এবং সামনের বছর শতভাগ পাসের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
একইসাথে ফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ফল ভালো হয়েছে। তবে আরো ভালো করতে পারলে খুশি হতাম। আমরা সবসময় চেষ্টা করি ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। প্রত্যাশা করি আগামী বছরের ফল আরো ভালো করতে পারবো।
এর আগে সকালে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনা এ ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচটি/এনএফ/এমজে