প্রভাষকদের পদোন্নতি মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে

বেসরকারি স্কুল কলেজের প্রভাষকদের পদোন্নতি মূল্যায়নের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন পরীক্ষা থাকবে। এ সংক্রান্ত জারি হওয়া নতুন নীতিমালায় এ তথ্য জানা গেছে। গত সোমবার এ নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মূল্যায়ন পরীক্ষায় ১০ নম্বর অনলাইন ক্লাসের দক্ষতার ওপর রাখা হয়েছে। তাই অনলাইন ক্লাসে পারদর্শী প্রভাষকরা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।
নতুন নীতিমালায় বিভিন্ন কলেজে কর্মরত প্রভাষকদের অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে ডিগ্রি পর্যায়ে কলেজের প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হলেও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রভাষকদের পদোন্নতিতে যে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে তাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এমপিওপ্রাপ্তির জ্যেষ্ঠতায় ১৫ নম্বর, পরীক্ষার ফলে ১৫ নম্বর, ক্লাসে উপস্থিতি ২০ নম্বর, নেতিবাচক রেকর্ডে না থাকলে ২০ নম্বর, বিভাগীয় মামলা না থাকলে ৫ নম্বর, সৃজনশীল দৃষ্টান্তে ১০ নম্বর, ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার দক্ষতায় ১০ নম্বর, এমফিল-পিএইচডিতে ৫ নম্বর, গবেষণা কর্ম ও স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থাকলে ১০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতি পাবেন প্রভাষকরা।
নীতিমালায় বলা হয়, ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকদের চাকরির ৮ বছর পূর্ণ হলে মোট প্রভাষক পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত সূচকে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রতিষ্ঠানের অন্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর পূর্ণ হলে ৯ম গ্রেড থেকে ৮ম গ্রেডে বেতন পাবেন। মোট ১৬ বছর পূর্ণ হলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া চাকরি জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না।
জ্যেষ্ঠ প্রভাষকরা ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা স্কেলে ৬ষ্ট গ্রেডে বেতন পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া চাকরি জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না।
এনএম/এসকেডি