৬ জনের গাফিলতিতে ভুল প্রশ্ন যায় কেন্দ্রে

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র দেওয়ার ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও কলেজটির অধ্যক্ষ শিব সঙ্কর শীলসহ ৬ জনের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
ওই ছয় কর্মকর্তা হলেন- পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিব শংকর শীল, পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. নোমান, কেন্দ্রের পরীক্ষা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ আজাদ ও প্রভাষক ফারজানা আক্তার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) এবং এক পুলিশ কনস্টেবল।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিজয় সরণি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কেএম রফিকুল ইসলাম।
ইউএনও কেএম রফিকুল ইসলাম জানান, ‘শুক্রবার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিটি। রিপোর্টে তিন স্তরে পাঁচ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাফিলতির চিত্র উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটি তিনটি স্তরে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে। তবে পুরো প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র সচিবের অবহেলাই এই ঘটনার প্রধান কারণ।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের বিজয় সরণি কলেজ কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি পরীক্ষা পর্যবেক্ষকদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র এনে দুপুর ১২টা থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু করা হয়।
ওইদিনই কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ শিব সঙ্কর শীল ও পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নোমানকে পরবর্তী পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পৃথক তদন্ত কমিটি করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কমিটি গতকাল প্রতিবেদন জমা দিলেও এবার তা চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ইউএনও কেএম রফিকুল ইসলাম।
আরএমএন/জেডএস