নির্দেশনা অমান্য করে স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা, মাউশির সর্তকতা

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:২৩ পিএম


নির্দেশনা অমান্য করে স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা, মাউশির সর্তকতা

প্রতীকী ছবি

করোনার কারণে আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লটারির পরিবর্তে গোপনে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান।

এমন অভিযোগ পাওয়ার পর লটারির বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্তক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদফর (মাউশি)। এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত।
রোববার (৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মাউশির পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, করোনার কারণে সর্বস্তরে লটারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব লটারির ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করে প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

একইসঙ্গে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত।

জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্কুলে লটারি না করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ডেকে এনে ভর্তি পরীক্ষা, ভাইভা নিচ্ছেন। এমন অভিযোগ মাউশি অধিদফতরে আসার পর এমন নির্দেশনা দেওয়া হলো।

গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারিতে ভর্তির নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। মাউশির উপ-পরিদর্শক (কলেজ-২) মো. এনামুল হক হাওলাদার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম লটারির মাধ্যমে পরিচালনা করবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

নির্দেশনা

১. লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে।
২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ, বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়াটি ফেসবুক লাইভে অথবা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করা বেসরকারি স্কুল-স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা (সংশোধিত)-২০২ যথাযথ অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এনএম/জেডএস

Link copied