ইএফটিতে দ্বিতীয় ধাপে বেতন পাচ্ছেন ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী

ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেসরকারি শিক্ষকদের দ্বিতীয় ধাপে বেতন দেওয়া শুরু হয়েছে। ৬৭ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে বেতন পাবেন। ইতোমধ্যে তাদের মেসেজ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী জানান, ৬৭ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে বেতন পাবেন। এরইমধ্যে তাদের মেসেজ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। ২৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য পায়নি সংস্থাটি। অবশিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য পেলেও তাতে ত্রুটি থাকায় সেগুলো সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
এনএম/জেডএস