জালিয়াতি করা আরও ১৫ শিক্ষকের বেতন বন্ধ ও ফৌজদারি মামলার নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সনদ ভুয়া দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন মাদরাসার ১৫ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে এসব শিক্ষকদের বেতন ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া ও তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশও দিয়েছে অধিদপ্তরটি।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলামের সই করা চিঠিতে তাদের এমপিও বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে দেশের বিভিন্ন মাদরাসার অন্তত ১২০ জনকে শনাক্ত করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তা করেননি। সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি সেই সব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে অধিদপ্তর বলছে, দ্রুত ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
যেসব শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করতে বলা হয়েছে, তারা হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়া টোক নগর দারুল হাদিস আলিম মাদরাসার শিক্ষক বাংলার প্রভাষক আশরাফুল আলম, একই মাদরাসার ইংরেজি প্রভাষক রুহুল আমিন। নরসিংদীর মনোহরদীর জি কে পি ডোয়াইগাঁও রবিউল উলুম দাখিল মাদরাসার মনির হোসেন ও সোনিয়া আক্তার, শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক, জুনিয়র শিক্ষক রুমা আক্তার, সহকারী মৌলভি আতিকা রহমান। গাজীপুরে কাপাসিয়ার সনমানিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভি তাসলিমা আক্তার ও হাজেরা। নরসিংদীর বেলাবো সুটুরিয়া মো. ফজলুল হক খান দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভি তাজুল ইসলাম। গাজীপুরে কাপাসিয়া আফসার উদ্দিন আহমেদ কারিগরি মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (গণিত) শরীফুজ্জামান, নরসিংদীর মনোহরদীর তারাকান্দী টি কিউ এ এইচ বালিকা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নাজমুন নাহার। একই মাদরাসার জুনিয়র শিক্ষক মো, রকিবুল, সহকারী শিক্ষক (বাংলা) শফিকুল ইসলাম ও জুনিয়র মৌলভি সাইফুল্লাহ।
এনএম/এমএন