শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচএসসির খাতার বৃত্ত পূরণ : দনিয়া কলেজ শিক্ষককে শোকজ

এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্ত পূরণ করানোর অভিযোগ উঠেছে দনিয়া কলেজের এক প্রধান পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা। একইসঙ্গে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নথি অনুসারে, অভিযুক্ত প্রধান পরীক্ষক মো. আব্দুর রহিম দনিয়া কলেজের শিক্ষক। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন তিনি (প্রধান পরীক্ষক কোড–১০৫৬)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত এই শিক্ষক ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ২য় পত্রের (বিষয় কোড-১০৮) উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্তি ভরাট করিয়েছেন। যার স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রাথমিক তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন
এতে আরও বলা হয়েছে, এমন কার্যকলাপের ফলে শিক্ষা বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের মনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের কোনো সদস্যকে দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
একইসঙ্গে এ অপরাধের জন্য কেন বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের সময় খাতা মূল্যায়নে গাফিলতি করায় ৮ পরীক্ষককে পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরএইচটি/এমএন