‘ন্যূনতম অবকাঠামো না হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম নয়’

বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের পর অবকাঠামোগত ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান জানিয়েছেন, এখন থেকে এ ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর মনিটরিংয়ে যাবে ইউজিসি। ন্যূনতম অবকাঠামো ও মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।
সম্প্রতি ইউজিসিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, অনুমোদন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হয় এবং নানা জটিলতা তৈরি হয়। এসব ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে নির্দেশনা এসেছে— ন্যূনতম অবকাঠামো ছাড়া অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু না করার জন্য।
অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চলমান প্রকল্পগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে ইউজিসি ইতিমধ্যে একটি শক্তিশালী মনিটরিং পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা যাচাই করতে দুটি গবেষণা পরিচালনা করবে ইউজিসি— একটি বেসলাইন সার্ভে এবং অন্যটি অ্যান্ডলাইন সার্ভে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আগামী মাস থেকে বেসলাইন সার্ভে শুরু হবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা প্রজেক্ট শুরুর আগে মূল্যায়ন করা হবে। পরে প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর অ্যান্ডলাইন সার্ভে করা হবে। এতে দেখা যাবে, বাস্তবায়নের পর কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি সদস্য বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার— শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। অবকাঠামোগত প্রস্তুতি ও ন্যূনতম শর্ত পূরণ ছাড়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস শুরু হবে না।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে দেশের বিভিন্ন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। ফলে, বিষয়টি আমলে নিয়ে এখন থেকে ন্যূনতম অবকাঠামনা দৃশ্যমান না হলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু না করার পক্ষেই মত দিয়েছে সরকার।
আরএইচটি/এমএন