ইআইবির ফাজিল পরীক্ষায় দেশসেরা দারুন্নাজাত কামিল মাদ্রাসা

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইআইবি) অধীনে পরিচালিত ফাজিল স্নাতক (অনার্স) ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা ২০২৩ এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষার চারটি বর্ষেই পাসের হার ৯২ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে চার বর্ষের ফলেই দেশের সব মাদ্রাসাকে পেছনে ফেলে শীর্ষে স্থান পেয়েছে রাজধানীর দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি চার বর্ষ মিলিয়ে সর্বাধিক ৪৩টি এ+ অর্জন করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে পাওয়া বিস্তারিত ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, চারটি বর্ষেই সেরা পাঁচ মাদ্রাসার মধ্যে দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রথম স্থানে রয়েছে। শুধু ২য় বর্ষেই তারা পেয়েছে ২১টি এ+। আর জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মোট ১৯টি এ+ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা ৯টি, মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা ৭টি এবং নোয়াখালী করামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা ৩টি এ+ পেয়ে শীর্ষ পাঁচে স্থান করে নিয়েছে। এ ছাড়া ভাগিয়া আল-আমিন, ঝালকাঠি এন.এস., ফারিদগঞ্জ মাজিদিয়া, কোয়াদারিয়া তাইয়েবিয়া, হায়বাতনগর এ.ইউ. ও রাঙ্গুনিয়া আলম শাহ পাড়াও একাধিক এ+ পেয়ে সাফল্য ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফেল করেছে মাত্র ৪৩৮ জন শিক্ষার্থী এবং ১৫৯ জনের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
বর্ষভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১ম বর্ষে পাসের হার ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ২য় বর্ষে ৯৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ৩য় বর্ষে ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ৪র্থ বর্ষে সর্বোচ্চ ৯৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় মাত্র ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ৪র্থ বর্ষে পাসের হার সর্বাধিক হলেও ১ম বর্ষের তুলনায় ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বলেন, এবারের ফল আমাদের জন্য সন্তোষজনক। ধাপে ধাপে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষার্থীরা এখন নিয়মিত ক্লাস করছে, পাঠে মনোযোগ দিচ্ছে ও পরীক্ষা প্রস্তুতিতেও আরও যত্নবান হচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব আমরা সরাসরি ফলাফলে দেখতে পাচ্ছি। আগামীতে আমরা এই ধারা বজায় রাখার পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেব।
আরএইচটি/এসএসএইচ