চাপ নয়, নীতিগত প্রক্রিয়াতেই আসবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশকে কেন্দ্র করে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে চাপের মুখে নয় বরং নির্ধারিত নীতিগত প্রক্রিয়াতেই সিদ্ধান্ত এগোচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন কয়েকটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হওয়া আইনগত প্রক্রিয়া। এতে তাড়াহুড়া করলে ভুল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই পর্যায়ক্রমে সব কাজ সম্পন্ন করেই অধ্যাদেশ ঘোষণার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেও কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সঙ্গেও আলাপ হয়েছিল। তবে বৈঠকের পরও শিক্ষার্থীরা যদি নতুন মত, গবেষণা বা আন্তর্জাতিক কোনো রেফারেন্স খুঁজে পায়, সেগুলো লিখিতভাবে দিলে তা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে। অবরোধ করে চাপ দিলে কোনো নীতি নির্ধারণ দ্রুত করা যায় না। বরং লিখিত গবেষণা দিলে আমরা বুঝতে পারি তারা কোন দিকটিকে গুরুত্ব দিতে চায়।
অধ্যাদেশ কবে আসতে পারে এমন প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সূত্র বলেছে, প্রক্রিয়াটির আরও কিছু ধাপ বাকি। একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লজ সংযোজনের পর বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় মিটিং ভেটিংয়ের ধাপ থাকতে পারে। ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে কি না- এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়।
অন্যদিকে, এরইমধ্যে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ঘোষণার এক দফা দাবিতে আজ দুপুর ১টা থেকে শিক্ষাভবন মোড় অবরোধ করে রেখেছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটের। আর অবরোধ ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শিক্ষাভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। রাখা হয়েছে জলকামান এবং রায়টকারও।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।
আরএইচটি/এমএসএ