ড্যাফোডিলে ‘প্যারেন্টস ডে’ : পরিবার ও মূল্যবোধে এক অনুপ্রেরণাময় উদযাপন

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসে অত্যন্ত আন্তরিক ও পরিবার–কেন্দ্রিক পরিবেশে আয়োজন করেছে ‘প্যারেন্টস ডে ২০২৫’। ডিআইইউ–এর স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স বিভাগের আওতাধীন আর্ট অব লিভিং প্রোগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত এই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মানবিক বন্ধন, নৈতিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
সারাদিন জুড়ে ক্যাম্পাস জুড়ে তৈরি হয় উষ্ণ, আবেগঘন ও হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত— যেখানে অনেক শিক্ষার্থী বাবা–মাকে আলিঙ্গন করে প্রকাশ করেন নিজেদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, দেশের প্রখ্যাত অভিনেতা, লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত তার বক্তব্যে বলেন, মা–বাবাই সন্তানের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। সময় যতই বদলাক, পরিবারের স্নেহ ও নৈতিক শিক্ষাই তরুণদের সবচেয়ে বড়ো শক্তি। ডিআইইউ যে মানবিকতা ও আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ডিআইইউ–এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আর. কবির অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুধু পাঠদান নয়, আমরা শিক্ষার্থীদের চরিত্র, সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরি করছি। প্যারেন্টস ডে আমাদের মনে করিয়ে দেয়— একজন শিক্ষার্থীর সাফল্যের প্রধান শক্তি তার পরিবার।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, আমাদের লক্ষ্য এমন এক প্রজন্ম তৈরি করা যারা সততা, নৈতিকতা ও মানবিকতার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নেবে। প্যারেন্টস ডে প্রমাণ করে যে শিক্ষা শুধু বই নয়— এটি পরিবার, সমাজ ও অভিজ্ঞতার সম্মিলিত যাত্রা।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় এক্সপ্রেসিভ সেশন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিক্ষক–অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মতবিনিময়, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ভালোবাসা ও বিনয়ের প্রতীক পা–ধোয়া অনুষ্ঠান। অভিভাবকরা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ব্যক্তিগত বিকাশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় অংশ নেন।
