ই-সেবায় শিক্ষক তথ্য হালনাগাদের নির্দেশনা দিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিপ্লোমা-ইন-ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি শিক্ষাক্রম পরিচালনাকারী সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চলমান বোর্ড মূল্যায়ন পর্বগুলোর (১ম (২০২৫–২৬), ২য়, ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্ব) পাঠদানকারী শিক্ষকগণের তথ্য ই-সেবার মাধ্যমে হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে এ তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (ডিপ্লোমা শাখা) থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভাগীয় প্রধান, চিফ ইন্সট্রাক্টর, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষকের নাম, পদবি, নিজ নামে সোনালী ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর, শাখার নাম এবং চলমান পর্বে পাঠদানকারী বিষয়গুলো ই-সেবায় এন্ট্রি ও হালনাগাদ করতে হবে। আগে ই-সেবায় এন্ট্রিকৃত তথ্যও সংশোধন ও হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বোর্ডের সব বিল সংক্রান্ত কার্যক্রমে নাম অঙ্কিত সিল ব্যবহার করতে হবে এবং একবার এন্ট্রি দেওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই ব্যাংক হিসাব নম্বর ও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না। ই-সেবায় হালনাগাদ করা শিক্ষক তালিকার ভিত্তিতেই বোর্ডের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
ই-সেবায় শিক্ষক তথ্য প্রেরণের জন্য www.bteb.gov.bd ওয়েবসাইটে ই-সেবায় সাইন-ইন করে Institute Teacher Entry Menu ব্যবহার করতে হবে। ই-সেবার পাসওয়ার্ডের জন্য প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশন করে পাসওয়ার্ড সেট ও সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করার পর ওটিপি গ্রহণ ও প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে ০১৫৫০৬২০৬০৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
তথ্য এন্ট্রির সময় শিক্ষকদের পদবি ও চাকরিতে যোগদানের তারিখ নির্ভুলভাবে প্রদান করতে হবে। চাকরির ধরন যেমন— রাজস্ব খাতভুক্ত, সমাপ্ত প্রকল্প, ইন্সট্রাক্টর (ইউআরপি), ওয়ার্কশপ সুপার (ইউআরপি), জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ইউআরপি) ইত্যাদি সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে অর্জিত সর্বশেষ যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নিজ নিজ মূল টেকনোলজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যদিও তা নিজ প্রতিষ্ঠানে না থাকে।
উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য প্রত্যেক শিক্ষককে তার টেকনোলজি ও শ্রেণি পাঠদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ চারটি বিষয় নির্বাচন করে ই-সেবায় এন্ট্রি দিতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকরা বোর্ডের কোন কোন কাজে আগ্রহী— যেমন অনাভ্যন্তরীণ পরীক্ষক, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, নিরীক্ষণ, প্রধান পরীক্ষণ, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন সঠিকভাবে ক্রমানুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। কেউ আগ্রহী না হলে ‘আগ্রহী নয়’ মর্মে এন্ট্রি দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকদের তথ্য ই-সেবায় এন্ট্রি বা হালনাগাদের আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবশ্যই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
এমএইচএন/জেডএস