ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়নে ইউজিসির রূপরেখা তৈরি

উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি খসড়া রূপরেখা তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী বছর থেকে (২০২৩) দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইউজিসি। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে রূপরেখাটি শতভাগ বাস্তবায়নে জরুরি, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর সঙ্গে সমন্বয় করে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করা হয়।
ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত ‘পলিসি অন ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সমন্বয় সভায় রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খসড়া রূপরেখাটি তুলে ধরা হয়।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ড. কাজী মোহাইমিন আস-সাকিব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আকতারুজ্জামান, বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তওরিত, প্রমুখ বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্লেন্ডেড এডুকেশনের খসড়া রূপরেখা কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদানের বিকল্প নেই বলে মত দেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পাঠদান অনলাইনে সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলকে শক্তিশালী করতে হবে বলে তারা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিশ্ববদ্যালয়গুলো যাতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। নীতিমালায় স্নাতকদের নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া হবে।
এএজে/জেডএস