নির্মাতা উজ্জ্বলের প্রশ্ন, গোপনে কেন সানি লিয়নকে দেখো?

Dhaka Post Desk

বিনোদন ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০২২, ০৪:০৯ পিএম


নির্মাতা উজ্জ্বলের প্রশ্ন, গোপনে কেন সানি লিয়নকে দেখো?

গত ১২ মার্চ বিকেলে ঢাকায় আসেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, ‘আইটেম গার্ল’ খ্যাত সানি লিওন। ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করে এই তারকা নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশে পা রেখে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে সানি লেখেন, ‘এই সুন্দর দেশটিতে এসে খুব খুশি আমি।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী ও চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস দম্পতির মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন সার্বেক এই পর্ন তারকা। তার সঙ্গে বলিডড ও টলিউডের আরও কয়েকজন অভিনয় ও সংগীতশিল্পী।

তবে সানি লিওনের বাংলাদেশ আসার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। এই ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন দেশের নন্দিত সিনেমা নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।

সোমবার (১৪ মার্চ) নিজের ফেসবুকে এ ঘটনা নিয়ে তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় এক অভিনেত্রীর বাংলাদেশে আগমন নিয়ে যে মাতামাতি দেখছি সেটার অন্যতম কারণ তিনি একজন সাবেক পর্নস্টার । মানুষের আচরণে মনে হচ্ছে পর্নস্টার হওয়াটা খুব গর্হিত অপরাধ এবং সামাজিকভাবে খুবই কদর্য একটা বিষয়!’

Dhaka Post

উজ্জ্বল প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এখন প্রশ্ন হলো যারা এই সামাজিক মানদন্ড বানিয়েছেন, তারা কীভাবে জানেন যে এই অভিনেত্রী একজন সাবেক পর্নস্টার? আপনারা এতটা ব্যাপকহারে পর্ন না দেখলে তো আর সে স্টার হতো না! কয়েক বছর হলো দেশে পর্ন সাইটগুলো সরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার পরও কী পর্ন দেখা বন্ধ হয়েছে? VPN দিয়ে পর্ন দেখার এই তেলেসমাতি তো এই তথাকথিত সভ্য সমাজেরই আবিস্কার, না কী?’

এই নির্মাতার ভাষ্য, ‘এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষ গোপনে গনিকালয়ে যাবে ফূর্তি করতে এবং ফিরে এসে পাক-সাফ হয়ে নারীকে বেশ্যা বলে গালি দেবে। দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজে এমনো নারী আছে, যার চোখ জোড়া আদতে পুরুষতান্ত্রিক!’

উজ্জ্বল লেখেন, ‘আপনার সুবোধ এবং সুশীল স্বামীটি যখন সানি লিয়ন বলে নাক সিঁটকাবে , তখন আপনি তাকে দয়া করে জিজ্ঞেস করবেন-ওগো আমাকে কী তোমার ভালো লাগে না, তুমি গোপনে কেন সানি লিয়নকে দেখো?’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘যাই হোক, পৃথিবীতে নানান ধরনের পেশা রয়েছে, মিউনিসিপ্যালিটির সুইপার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র প্রধান। যত ধরনের পেশা আবিস্কার হয়েছে -সেই সেবাগুলো কেউ না কেউ নেয় বলেই আবিস্কার হয়েছে। সুতরাং পৃথিবীর যেকোনো পেশা-যা মানবতা বিরোধী নয় বা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় সেই পেশাকে সম্মান করতে শিখুন, নিজেও সম্মানিত হবেন।’

আরআইজে

Link copied