উৎসবমুখর পরিবেশে কাটল হোপ ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় দিন

‘সম্ভাবনার শক্তি’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) উৎসবমুখর আমেজে কাটল ব্র্যাক হোপ ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় দিন। দিনটির আয়োজনের কেন্দ্রে ছিল সকল বাধাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার গল্পের উপস্থাপনা, মানবশক্তির প্রতি সম্মাননা জানানো ও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান।
ব্র্যাকের ৫০ বছরের যাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ব্র্যাক হোপ ফেস্টিভ্যাল, যা চলবে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত হয় বিভিন্ন কর্মশালা, প্রদর্শনী, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট। ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করা সফল উদ্যোক্তাদের গল্প নিয়ে পরিবেশিত হয় ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেস-এর পরিবেশনা।

এছাড়া বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ‘ইশারা ভাষায়’ (সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ) আহসান হাবিব ও তার দলের একটি মনোজ্ঞ পরিবেশনা উপভোগ করেন দর্শকরা। যাত্রিক-এর পরিচালনায় ‘অলওয়েজ আ ওয়ে: ফিফটি স্টোরিজ অফ কারেজ অ্যান্ড হোপ’ শীর্ষক নৃত্যনাট্য পরিবেশন করা হয়। যেখানে তুলে ধরা হয় হার না মানা মানুষের গল্প।
আয়োজনের মধ্যে আরও ছিল লিঙ্গসমতা নিয়ে ‘সমতন্ত্র’ শীর্ষক নবনীতা চৌধুরীর বিশেষ পরিবেশনা। রেনেসাঁ, ফিডব্যাক, ইমন চৌধুরী ও তার দল, মিফতাহ জামান ও গার্ল পাওয়ার ব্যান্ডের সংগীতের মুগ্ধতা আবিষ্ট করে উপস্থিত দর্শকদের।
ছিল আড়ং-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ফ্যাশন শো। এখানে সম্মাননা জানানো হয় বাংলাদেশের কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের প্রতি। এরই মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে হোপ ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় দিনের।
বাংলাদেশের হৃদয় হতে, সারা বিশ্বজুড়ে আশা জাগানোর ৫০ বছরের পথচলা আর বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তা, সাহস ও এগিয়ে যাওয়ার শক্তিকে উদযাপন করতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব। বাধা, বিপদ, দুর্যোগে বাংলাদেশের লড়াকু মানুষ থমকেছে, কিন্তু থামেনি। সীমাহীন সম্ভাবনায় খুঁজে নিয়েছে এগিয়ে যাবার পথ। এই উৎসবের মূল অনুপ্রেরণা ও আয়োজন তাদেরকে ঘিরেই। কোটি মানুষের জীবনের মোড় পরিবর্তনের উদাহরণ সবাইকে নিজ নিজ বাধা পেরিয়ে, স্বপ্ন জয়ের অনুপ্রেরণা দেবে- এই আশা ব্র্যাকের।
ওএফএ/এমজেইউ