রোজা-বম্বের মতো সুপারহিট সিনেমার পরও হারিয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ

দক্ষিণী বিনোদনের সঙ্গে পরিচিত যারা, অরবিন্দ স্বামী তাদের কাছে পরিচিত নাম। বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দেওয়া এই অভিনেতার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না।
দক্ষিণের বিখ্যাত পরিচালক মণিরত্নমের হাত ধরেই সিনেমায় পা রাখেন অরবিন্দ। ১৯৯১ সালে প্রথম সিনেমাতেই তিনি অভিনয় করেন রজনীকান্তের সঙ্গে। আর তারপর রোজা সিনেমার মধ্যে দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি।
রোজার পর তিনি কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলেন। পরে দেশে ফিরে তিনি আবারও সিনেমায় যুক্ত হন।
১৯৯৫ সালে বম্বে সিনেমাও হিট হলে অরবিন্দকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। এ ছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘ইন্দিরা’, ‘মিনসারা কানাভু’, ‘পুধায়াল’ ‘সাত রং কে স্বপ্নে’ এবং ‘রাজা কো রানি সে পেয়ার হো গ্যায়া।’
এরপরও ২০০০ সালে অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ান অরবিন্দ। প্রায় ৫ বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন তিনি। তারপর ২০০৫ সালে বড় এক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে তার পায়ের একাংশ।
এর জেরে এক বছর বিছানায় থাকতে হয়েছিল তাকে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে সময় লাগে আরও দুই থেকে তিন বছর।
এরপর সুস্থ হয়ে আবার সেই মণিরত্নমের হাত ধরেই ফেরেন অরবিন্দ। কেরিয়ারের এই দ্বিতীয় ইনিংসে ‘ধ্রুব’, ‘ডিয়ার ড্যাড’, ‘বোগান’, ‘মাম্মুথী’র মতো সিনেমা উপহার দেন তিনি।
এখনও ‘নরগসূরন’, ‘কাল্লাপার্ট’, ‘সতুরঙ্গ ভেট্টাই’ এবং ‘ভানঙ্গমুড়ি’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।