আমার মা ছিলেন সত্যিকারের বার্বি

শৈশবে বাবাকে হারানোর পর মা ছিলেন একমাত্র ভালোবাসার স্থান। সেই মা-ও একসময় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু তবুও এখনও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর কাছে তার মা-ই ‘সত্যিকারের বার্বি’।
হলিউড সিনেমা ‘বার্বি’ মুক্তির পরই সেই উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ‘বার্বি’ ট্রেন্ড। এসব কিছুর মাঝেই মায়ের সঙ্গে এক ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দিতির মেয়ে লামিয়া লিখেছেন, ‘আমার মা ছিলেন সত্যিকারের বার্বি।’
হঠাৎ কেনো এমন পোস্ট? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে লামিয়া বলেন, ‘সেই সময় ইন্টারনেটের যুগ ছিল না। এ জন্য কেউ ছবিগুলো দেখতে পেত না। কেবল সিনেমা হলেই দেখা যেত। এখন আমি চিন্তা করি. এত আগে কীভাবে আম্মুর মাথায় এই কম্বিনেশনের ধারণা আসতো। এত সুন্দর আউটফিট, চুলের স্টাইল-সব ম্যাচ করে পরতেন।’
দিতি কন্যা বলেন, `আম্মুকে ছোটবেলা থেকেই দেখতাম তিনি নিজেই মেকআপ, হেয়ারস্টাইল, কাপড় ডিজাইন করতেন। সৃজনশীল কাজে যেমন যত্নের ছাপ থাকতো, তেমনি সেই সময়ে তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা সৃজনশীলতার খোঁজ পেত আম্মুর মাঝে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বাবা সোহেল চৌধুরীর পর ২০১৬ সালে মা দিতিকেও হারিয়ে ফেলেন লামিয়া। দিতি কন্যা পড়াশোনা করেছেন কানাডায়। টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে নির্মাতা হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন এই তারকা দম্পতির মেয়ে। ২০১৬ সালে মায়ের মৃত্যুর পর তার ইচ্ছা অনুযায়ী ‘দুই পুতুল’ শিরোনামে একটি নাটক নির্মাণ করেন লামিয়া।
এনএইচ