আসছে ঈদ-বৈশাখ তো মার্সেলেরই!

এই সময়ের ব্যস্ত সুরকার-সংগীত পরিচালকের একজন শাহরিয়ার আলম মার্সেল। কণ্ঠের জন্যও সবার প্রশংসা কুড়িয়ে থাকেন তিনি। আসছে পহেলা বৈশাখ এবং ঈদকে সামনে রেখেও নতুন গানের ঢালি সাজিয়েছেন লক্ষীপুরে জন্ম নেওয়া এই তরুণ। এরইমধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন অনেকগুলো গান।
শুরুতেই মার্সেল দিলেন সিনেমার কাজের খবর। সম্প্রতি তিনটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। এরমধ্যে সৈকত নাসিরের 'বর্ডার'-এ থাকছে তার সুর-সংগীতায়োজন করা ৩টি গান। এগুলোর একটি গেয়েছেন মার্সেল নিজেই। 'বোকা মন' শিরোনামের গানটি দিয়েই প্লেব্যাকে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। বর্তমানে এ সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ করছেন মার্সেল। একই পরিচালকের 'ক্যসিনো'র টাইটেল গানের সুর-সংগীতায়োজনও করেছেন তিনি। এছাড়া ‘এ জার্নি উইথ ইউ' সিনেমায় মার্সেলের সুর ও সংগীতায়োজনে একটি কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান।
তবে বর্তমানে মার্সেলের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা নাটকের গানকে ঘিরে। পহেলা বৈশাখ ও ঈদ নাটকের বেশ কিছু গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন তিনি। কণ্ঠও দিয়েছেন নাটকের একাধিক গানে। এরমধ্যে রয়েছে চয়নিকা চৌধুরীর ঈদের নাটক 'শুভ কামনা' ও 'স্যারের মেয়ে' এবং রুবেল হাসানের ঈদের নাটক 'মহব্বত' এর টাইটেল গান। এছাড়া মাহমুদুর রহমান হিমির 'ম্যারুন’-এ মাহতিম শাকিব, সিএমভি প্রযোজনায় 'সাত জনমের সাধনা' নাটকে মার্সেল-আনিসা এবং সিনেমাওয়ালার ব্যানারে 'অ্যাওয়ার্ড' নাটকের টাইটেল গানে কনার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মার্সেল।
পহেলা বৈশাখ-ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যনারে ভিডিও আকারে আসবে মার্সেলের করা আরও কিছু গান। যেগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যানসি, কনা, কোনাল, কর্নিয়া, বেলাল খান, মাহতিম শাকিব, পূজা, বৃষ্টি, তাসনিম আনিকা, হৃদ্য, আতিয়া আনিসা, শেখ সাদি প্রমুখ।
পিছিয়ে নেই মার্সেলের নিজের ইউটিউব চ্যানেলও। ঈদে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করবেন একটি কোলাবোরেশন প্রজেক্ট। যেখানে তার সঙ্গে থাকছেন তবিব মাহমুদ। তার আগে বৈশাখে নিজ ইউটিউব চ্যানেলে একটি ফোক ম্যাশাপ প্রকাশ করবেন মার্সেল। এই কাজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়ে রাখলেন মার্সেল। সঙ্গে এও বললেন, চলতি বছর এরইমধ্যে তার তৈরি করা, গাওয়া বেশ কিছু গান প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর জন্য ভালো রেসপন্সও পাচ্ছেন।
মার্সেল বলেন, ‘ছোটবেলাতেই শিক্ষক বাবা-মার আগ্রহে গানে আসা। তখন লক্ষ্মীপুরে কোনো গানের স্কুল ছিল না। বাবা অন্য জেলা থেকে শিক্ষক এনে নিজে গানের স্কুল করে আমাকে গান শিখিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ভারতের এর 'মুম্বাই মিউজিক ইন্সটিটিউট' থেকে 'ইলেক্ট্রনিক মিউজিক অ্যান্ড সাউন্ড ডিজাইন' এর ওপর ডিপ্লোমা করেছি। সংগীতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন থেকেই এই বিষয়ে এত পড়াশোনা করেছি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।’
২০০২ সালে 'নতুন কুড়ি'তে দ্বিতীয় (কবিতা আবৃত্তি) এবং ২০০৪ সালে প্রথম (লোকগান) হওয়া মার্সেল আরও যোগ করেন, ‘আমার পড়াশোনা, পরিবার, পরিবেশ থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছি সেটাই সংগীতে বজায় রাখায় চেষ্টা করি। আমি মনে করি পরিচ্ছন্ন এবং ভালো কাজের কোনো বিকল্প নেই। সেভাবেই গান করে যাচ্ছি।’
সিনেমা, নাটক, মিউজিক ভিডিওর পাশাপাশি ঈদ-বৈশাখের বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেলও তৈরি করছেন শাহরিয়ার আলম মার্সেল। সব মিলিয়ে বলাই যায়, আসছে ঈদ-বৈশাখ তো মার্সেলেরই!
আরআইজে