আবারও বন্ধ হচ্ছে ভারতের সিনেমা হল

করোনার কারণে আবারও ভারতের সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) শপিং মল, রেস্তোরাঁর সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনার কারণে সিনেমার সংশ্লিষ্ট কর্মী থেকে শুরু করে প্রযোজক, পরিচালক সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে সিনেমা হলের কর্মীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। এছাড়া ভারতের বলিউডও সমানভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
বিশেষ করে চলতি বছর এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে যেসব সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, সেগুলোর তারিখ পেছাচ্ছে প্রযোজকরা। এর মধ্যে রয়েছে কঙ্গনা রানাউতের ‘থালাইভি’, জন আব্রাহামের ‘সত্যমেব জয়তে-২’ থেকে শুরু করে ‘বাবলু ব্যাচেলর’সহ অনেক সিনেমা।
অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ভোটপ্রার্থী ও সমর্থকরা নিরাপদ দূরত্ব না মানায় রাজ্যটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী ২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে সে বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন জনগন।

এর প্রভাব পড়তে পারে টলিউডেও। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মে মাসের মধ্যভাগে সিনেমা মুক্তির দিন ধার্য করে টলিউডের প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থাগুলো। আর এতেই বেধেছে বিপত্তি! যে হারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাড়ছে, তাতে নির্বাচন শেষ হলেই লকডাউন আসতে পারে।
এক বছর ধরে টানা সিনেমা হল বন্ধ ছিল। এরপর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে সিনেমা হলে অল্পসংখ্যক দর্শক যাচ্ছিল। কিন্তু মহমারিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলে সেগুলো আবার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘বেলাশুরু’। এটি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য কাজ। যা মে মাসের শেষে মুক্তির কথা ছিল।
অন্যদিকে বিরসা দাশগুপ্তর সিনেমা ‘সাইকো’ মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের। ২১ মে এটি মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতি যে অবস্থায় রয়েছে তাতে নির্ধারিত দিনে মুক্তি পাবে কিনা সেটি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এইচএকে/এমআরএম