কবর খোঁড়া শেষ, অপেক্ষা হিমুর

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে সমাহিত করতে লক্ষ্মীপুরে তার মা শামিম আরা চৌধুরীর কবরের পাশেই কবর খোঁড়া হয়েছে। এখন শুধু তার অপেক্ষায় আছে স্বজনরা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিমুর মামা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মঈন উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, শুক্রবার বাদ এশা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে কবরস্থানে হিমুর মরদেহ দাফন করা হবে।
এর আগে বাদ জুমা রাজধানীর চ্যানেল আই চত্বরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিনেত্রীর মরদেহসহ লাশবাহী গাড়ি ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
আরও পড়ুন
হুমায়ারা হিমুর মামা মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হিমুর বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। হিমু বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ ২০১৮ সালে মারা যান। মা শামীম আরা চৌধুরী ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হিমুর মরদেহ তার মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল বলেন, হিমুর জন্ম আমাদের এলাকায়। লামচরী তার নানার বাড়ি। জন্মের পর থেকে হিমুর পরিবার এখানেই থাকত। এক পর্যায়ে তারা এখান থেকে ঢাকায় চলে যান। এখানে তাদের বাসা-বাড়ি কিছুই নেই। লক্ষ্মীপুর এলে নানাবাড়িতেই থাকতেন। লামচরী জামে মসজিদের কবরস্থানে কবরের জন্য পারিবারিকভাবে তাদের জমি কেনা আছে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে হুমায়রা হিমুর অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএইচ