খুদে যশপ্রীতের জীবনের গল্পে আবেগপ্রবণ অর্জুন যা করলেন
১০ বছরের যশপ্রীতের জীবনের গল্প শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অভিনেতা অর্জুন কাপুর। খুদে যশপ্রীতের জীবন সংগ্রাম কাঁদালো অর্জুনকে। এরপরই তার পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
কে এই যশপ্রীত—কী তার জীবন সংগ্রাম?
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১০ বছরের যশপ্রীতের বাবা নেই। এখনই সংসার টানার দায়িত্ব কাঁধে উঠেছে। দিল্লির ফুটপাতে রোল বিক্রি করে সে। সেখান থেকেই যা উপার্জন হয় তাতেই চলে সংসার। সেই খুদেকে দেখেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অর্জুন কাপুর।
আরও পড়ুন
এই খুদে দিল্লিতে থাকে। বাড়িতে ছোট বোন। মাথা উঁচু করে রোলের এক ছোট্ট দোকান চালায় সে। অনেকেই সেই পিতৃহারা ছেলের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। সেখানেই যশপ্রীতের করুণ কাহিনী অর্জুন কাপুরের নজরে আসে।
অভিনেতা নিজেও মাকে হারিয়েছেন। বাবা বনি কাপুর যখন শ্রীদেবীতে মজে ছিলেন, তখন শৈশবে মা ছিলেন অর্জুনের একমাত্র আশ্রয়। তাই যশপ্রীতের এই সংগ্রাম দেখে এড়িয়ে যাননি তিনি। বরং সেই খুদের ছবি শেয়ার করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস জানিয়েছেন।
অর্জুনেরও নিজের এক বোন রয়েছে, অনসূলা। যশপ্রীতের এই কঠোর সংগ্রামে তাই চোখ ভিজেছে অভিনেতার। ইনস্টা স্টোরিতে সেই কথা শেয়ার করেই অর্জুন কাপুর লিখেছেন, মুখে হাসি নিয়ে জীবনের কঠোর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে ১০ বছরের এই ছেলেটা। বাবার মৃত্যুর দশ দিনের মাথায় যেভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস ও দেখিয়েছে, তার জন্য যশপ্রীতকে কুর্নিশ। ওকে এবং ওর বোনের পড়াশোনার সমস্ত দায়ভার আমি নিতে চাই। কারও কাছে যদি ওর সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে, তাহলে আমাকে জানাবেন।
সম্প্রতি দিল্লির এক ব্লগারের মাধ্যমে যশপ্রীতের করুণ কাহিনী সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাবার মৃত্যুর পর চাচাতো ভাইয়ের সাহায্যে বাবার ব্যবসার হাল ধরে এই দশ বছরের খুদে।
এমএসএ