বাবা-মার ঝগড়ার বিষয় প্রকাশ্যে আনলেন রণবীর

এক সময়ে বলিউডে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন নীতু কাপুর। সত্তরের দশকে ‘দিওয়ার’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘কভি কভি’ সিনেমার পরে খ্যাতির শিখরে ছিলেন তিনি। প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পরেই অভিনয় থেকে বিদায় নেন নীতু। তবে ঋষির সঙ্গে বৈবাহিক জীবনের জন্য প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসতেন তিনি।
ঋষি ও নীতুর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে এক সময়ে মুখ খুলেছিলেন তাদের ছেলে অভিনেতা রণবীর কাপুর। তিনি জানান, বাবা-মায়ের দাম্পত্যে বেশ চড়াই-উতরাই ছিল। সম্পর্ক একেবারেই মসৃণ ছিল না। ঋষি ও নীতুকে নিয়ে তাই বিতর্ক ছিল যথেষ্ট। সেই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন রণবীর। সেই সময়ে ঋষি কাপুর জীবিত ছিলেন।
রণবীর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমে কী প্রকাশ হতো, তা বড় বিষয় ছিল না। আমি মা-বাবার সঙ্গেই থাকি। আমি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে বাবা-মাকে যেতে দেখেছি। তাই আমিও এটার অংশ ছিলাম। আমি ঠিকই ছিলাম।’
রণবীর আরও বলেছিলেন, ‘আমি একটা বাংলোয় থাকি। বাবা মা নিচের তলায় থাকেন। আমি একদিন প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সিঁড়িতে বসে ছিলাম। রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত তাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। জিনিসপত্র ভাঙচুরের আওয়াজও আসছিল। সবাই এই ধরনের সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়। আমার মা-বাবা খ্যাতনামী ছিলেন বলে সেটা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেত।’
বাবা-মায়ের অশান্তির জন্য স্কুলে অস্বস্তি লাগত বলেও জানান রণবীর। তার কথায়, ‘স্কুলেও অস্বস্তি লাগত। বন্ধুরা ভালো বলে কিছু বলত না। কিন্তু বুঝতে পারতাম, ওরাও জানে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারি বিয়ে করেন নীতু ও ঋষি। শেষ ‘গঙ্গা মেরি মা’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে বিয়ের আগে। ২০০৯-এ ফের অভিনয়ে ফিরে আসেন নীতু। তারপর থেকে ‘দুনি চার’, ‘জব তক হ্যায় জান’, ‘বেশরম’, ‘স্পেশাল ২৬’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
এমএ