রাস্তায় সিগারেট বেচতেন, যার চোখে পড়ে বদলে গেল জীবন

রাস্তার ধারে, থিয়েটারের বাইরে সিগারেট ও চিনাবাদাম বিক্রি করে কোনোরকম টেনেটুনে সংসার চলত তরুণের। হঠাৎ করেই এক নায়কের চোখে পড়ে গেলেন। হয়ে গেলেন অভিনেতা। সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও এমনই কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে নিজেকে বর্তমানের জায়গায় নিয়ে এসেছেন জ্যাকি শ্রফ।
অভাব থেকে উঠে এসে ভয়ংকর সংগ্রাম করে নিজেকে অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠা করেছেন এমন উদাহরণ প্রচুর রয়েছে সিনে জগতে। জ্যাকি শ্রফ হলেন সেইরকমেরই একজন মানুষ। এ নায়কের জীবন সংগ্রাম শুনলে যে কেউ অবকা হবেন।
দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা করেছেন জ্যাকি শ্রফ। ‘জ্যাকি দাদা’ অভিনেতা হওয়ার আগের জীবন খুবই কষ্টের। অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।

স্কুলের ফি বাবদ টাকাও ছিল না এই অভিনেতার। অভিনেতা থিয়েটারের বাইরে চিনাবাদাম বিক্রি করতেন। আবার কখনও তিনি একটি কাপড়ের দোকানেও কাজ করতেন।
জ্যাকি শ্রফকে প্রথমবার সিনেমায় সুযোগ করে দিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অন্য এক তারকা দেব আনন্দ। একবার দেবানন্দ গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিলেন, পথে তার চোখ পড়ে জ্যাকি শ্রফের ওপর। নোংরা শার্ট ও ছেঁড়া জিন্স পরা সিগারেট বিক্রি করছিলেন। তরুণ জ্যাকিকে দেখে দেবানন্দ তাকে একটি সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
১৯৮৩ সালে ‘স্বামী দাদা’ সিনেমাতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান জ্যাকি। এতে মাত্র ১৬ মিনিটের একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন জ্যাকি। এই সিনেমা থেকে খুব একটা পরিচিতি পাননি তিনি। তবে সিনে জগতে তার জয়যাত্রা শুরু হয়ে যায়।
১৯৮৩ সালের সুপারহিট সিনেমা ‘হিরো’তে তাকে প্রথম নায়ক হিসেবে দেখা যায়। এই সিনেমাতে তার চরিত্রটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। এই সিনেমার মাধ্যমে তিনি রাতারাতি তারকা বনে যান। সিনেমাতে তার বিপরীতে দেখা গেছে মীনাক্ষী শেষাদ্রিকে।
এমএ