‘বাবার আমলে আইপিএল ছিল না, মাকেই সংসার চালাতে হতো’

বলিউড তারকা সোহা আলি খানের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি ছিলেন ভারতের একজন নামকরা ক্রিকেটার। ষাটের দশকেই মূলত ক্রিকেটের ময়দান কাঁপিয়েছেন তিনি। কিন্তু সে সময় তো আইপিএল এর মতো টুর্নামেন্ট ছিল না; তাই ছিল না বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগও। সে কারণে সংসার হাল ধরতে হয়েছিল পতৌদি পত্মী শর্মিলা ঠাকুরকে।
সেই আক্ষেপই সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরলেন পতৌদিকন্যা, অভিনেত্রী সোহা আলি খান। তার কথায়, ‘আমার বাবা ছিলেন তারকা ক্রিকেটার। ১৯৬০-এ আইপিএল ছিল না। বাবা শুধু ভালোবেসেই ক্রিকেট খেলতেন। তখন অর্থ উপার্জন হতো না ক্রিকেট থেকে। বিজ্ঞাপন থেকেও উপার্জনের সুযোগ ছিল না। তাই মাকে আমাদের সাংসার চালানোর দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।’
সম্প্রতি নিজের আগামী ছবি ‘ছোরি ২’-এর প্রচারে যান সোহানা। সেখানেই অভিনেত্রীর কাছে তার রোল মডেলের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। সোহা জবাবে বাবা মনসুর আলি খানের কথা বলেন।
আরও পড়ুন
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার বাবার সঙ্গে মায়ের (শর্মিলা ঠাকুর) বিয়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সে। সেই সময় বিয়ের পর এক নারীর পক্ষে সংসার ,অভিনয় একই সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন ছিল। তারপর বিয়ের দুবছরের মধ্যেই মায়ের প্রথম সন্তান হয়। সবটা সামলে কাজ চালানো কঠিন ছিল। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য মাকে সেইসময় কাজ চালিয়ে যেতে হয়।’
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘আমার বাবা চিরকালই মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতেন। তার থেকে অর্থ উপার্জন হতো না। এরপর যখন আমি জন্মাই তখন বাবা ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না সেই সময় আমাদের সংসারে যথেষ্ট দারিদ্রতা ছিল। তখন মা একমাত্র উপার্জনকারি সদস্য ছিলেন। তাই মাকেই সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। এত অসুবিধার মধ্যেও বাবা সবসময় মাকে বলতেন, তোমার যা করতে ভালো লাগবে সেটাই করবে। আর বাবার এই গুণটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের ছিল। তাই বাবাকে সারাজীবন রোল মডেল মানব। আর মাকে তো সারাজীবন দেখছি, তিনি কাজ করে চলেছেন। তাদের দেখেই নিজের জীবনের চলার পথ ঠিক করেছি।’
ডিএ