মসজিদে অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ, মডেল-ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে মামলা

পাকিস্তানের লাহোরে ঐতিহাসিক ওয়াজির খান মসজিদে অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক মডেল ও এক ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে লাহোর পুলিশ। ওয়াল্ড সিটি অব লাহোর অথরিটির (ডাব্লিউসিএলএ) কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াইসের অভিযোগের ভিত্তিতে আকবরি গেট থানায় এই এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করা হয়।
এতে মডেল আজবিয়া খান ও ফটোগ্রাফার জেইন শাহের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে ওয়াইস বলেন, ‘মডেল ‘অশোভন পোশাকে’ মসজিদের অভ্যন্তরে ভিডিও ধারণ করেছেন এবং এর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো পূর্বানুমতি নেননি। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি গত ১৩ আগস্ট ঘটলেও বিষয়টি তাদের নজরে আসার পর ১৭ আগস্ট রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ সূত্রের দাবি, বাদী অভিযুক্তদের ঠিকানা বা যোগাযোগের কোনো বিবরণ দেননি, এমনকি তাদের নামও যাচাই করা হয়নি।
আরও পড়ুন
প্রতিবেদনে আরও বলা যায়, মসজিদ কর্তৃপক্ষ ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করার পর এবং কর্মকর্তারা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানালে এই এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আওকাফ বিভাগের সেক্রেটারি ড. তাহির রাজা বুখারি বলেন,‘ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ডাব্লিউসিএলএ বিষয়টি অনুসরণ করছে।’

প্রসঙ্গত, ওয়াজির খান মসজিদ ১৭শ শতাব্দীর মুঘল আমলের একটি মসজিদ, যা লাহোরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে পাঞ্জাবের গভর্নর ওয়াজির খান এটি নির্মাণ করেন। ১৬৩৪ থেকে ১৬৪১ সালের মধ্যে এটি নির্মিত হয়। মসজিদটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ টেনটেটিভ লিস্টে অন্তর্ভুক্ত।
২০০৯ সাল থেকে আগা খান ট্রাস্ট ফর কালচার ও পাঞ্জাব সরকারের তত্ত্বাবধানে মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার কাজ চলছে। জার্মানি, নরওয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই কাজে সহায়তা করছে।
এমআইকে