গোপনে ঢাকায় দুটি কনসার্ট আতিফ আসলামের!

গত এক মাসে নিরাপত্তার অজুহাতে একের পর এক বিদেশি শিল্পীর কনসার্ট বাতিল হয়েছে ঢাকায়। পাকিস্তানের আজমত আলী, ভারতের আনুভ জেইন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘জাল’ বা ‘কাবিশ’- কেউই মঞ্চে উঠতে পারেননি। সবশেষ এই তালিকায় যোগ হয়েছিল আতিফ আসলামের নাম। কিন্তু গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার পূর্বাচলে ‘মেইন স্টেজ ইনক’ আয়োজিত বিশাল এক কনসার্টে গাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র না পাওয়ায় সেই আয়োজন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আতিফ আসলাম নিজেও সেই কনসার্টটি বাতিল হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
সবাই যখন ধরে নিয়েছেন, আতিফ আসলাম নিরাশ হয়ে ঢাকায় আর আসছেন না, তখনই সামাজিক মাধ্যমে তার পারফরম্যান্সের একের পর এক ভিডিও ক্লিপ, ছবি ভাইরাল হতে শুরু করে। জানা যায়, পাবলিক কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকা সফর বাতিল করেননি তিনি। ঢাকায় এসেছেন তিনি, পর্দার আড়ালে সেরে নিচ্ছেন একের পর এক ‘প্রাইভেট’ বা ব্যক্তিগত শো।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পস্ট-ক্লিপগুলো থেকে দেখা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার আভিজাত গুলশান ক্লাবে একটি বিশেষ ইনডোর শো-তে পারফর্ম করেন আতিফ আসলাম। ‘দ্য ফাইনাল নোট: আতিফ আসলাম’ শিরোনামের সেই আয়োজনের কোনো পাবলিক ঘোষণা না থাকলেও অনুষ্ঠান শেষে নেটিজেনদের কল্যাণে ভিডিওগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে; সেখানে তাকে তার জনপ্রিয় গানগুলো গাইতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন
এরপর আজ ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB) ক্যাম্পাসে পারফর্ম করার খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠে আয়োজিত এই কনসার্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিস’। দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া এই কনসার্টে আতিফের সঙ্গে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দুই শিল্পী মিনার রহমান ও প্রীতম হাসানও অংশ নিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অ্যালামনাই ছাড়া বাইরের কেউ সেখানে প্রবেশের সুযোগ পাননি। এমনকি নিরাপত্তা ও ভিড় এড়াতে আতিফের অংশগ্রহণের বিষয়টি অনেকটা গোপনই রাখা হয়েছিল।

কেন এই গোপনীয়তা? নেপথ্যে আসল কারণ কী?
পাবলিক কনসার্ট বাতিল হলেও প্রাইভেট শো কেন চলছে? সাধারণ নেটিজেনদের মনে এই প্রশ্ন উঁকি দিলেও সচেতন মহলের ব্যাখ্যা ভিন্ন। তারা মনে করছে, সাধারণত বড় পাবলিক কনসার্টের ক্ষেত্রে বিশাল জনসমাগমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সেজন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের বড় জনসমাগম এডিয়ে যাওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
ডিএ