সাফল্য পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী আশরাফুল পাভেল

গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আশরাফুল পাভেল এরইমধ্যে শ্রোতাদের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। বিশেষ করে গত বছর প্রকাশিত তার গাওয়া তিনটি গান-'দূরই যাইও না', 'যাইমু লং ড্রাইভো' এবং 'এত লজ্জা কেনো' বেশ আলোচিত হয়। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান 'দূরই যাইও না' গানটির জন্য।
চলতি বছর পাভেল শ্রোতাদের উপহার দেন 'সিলেটিয়া রঙিলা দামান'। গানটিতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন বীথি চৌধুরী। প্রচলিত এই গানের সঙ্গে সিলেটের ভাষায় আরও কিছু কথা যোগ করেছেন পল্লব। সংগীতায়োজনে ছিলেন আশরাফুল পাভেল নিজেই। এই গানটিও শ্রোতারা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।
মজার বিষয় হলো পাভেলের এই গানগুলোর সবগুলোতেই রয়েছে সিলেটী ভাষার ছোঁয়া। শুদ্ধ বাংলার সঙ্গে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা মিশিয়ে গানগুলো করেছেন তিনি। এরজন্য শ্রোতাদের কাছ থেকে আলাদা ফিডব্যাকও পেয়েছেন। বিষয়টিতে মজা পাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের শ্রোতারাও।
এ বিষয়ে নিজের যুক্তি তুলে ধরে পাভেল বলেন, ‘আমি কানাডা প্রবাসী। আমার গ্রামের সিলেটে। লন্ডন-কানাডা থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক দেশেই সিলেটের বহু মানুষ থাকেন। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই গানের কথায় শুদ্ধ বাংলার সঙ্গে সিলেটী আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ করছি। আমি চাই আমাদের শুদ্ধ বাংলার সঙ্গে সিলেটী ভাষাটাও দেশেরে বাইরে ছড়িয়ে পড়ুক। এছাড়া ইংরেজির পরিবর্তেও আমি সিলেটী ভাষা প্রয়োগ করছি বলতে পারেন।’
পাভেল জানান, চলতি মাসেই তিনি নতুন আরেকটি গান প্রকাশ করবেন। এটির শিরোনাম ‘কত বালা ফাই’। এটির কথা লিখেছেন রাফায়াত ইমন ও আশরাফুল পাভেল। সুর ও সংগীতায়োজনে পাভেল নিজেই। শীল শর্মার ভিডিও নির্মাতে এতে অভিনয় করেছেন দুজন মডেল। পাভেল রয়েছেন শিল্পীর ভূমিকায়। এছাড়া ‘আমার চেহারা কালা’ এবং ‘দুবাই শপিংয়ে যাবো’ শিরোনামে সামনে আরও দুটি গান প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আশরাফুল পাভেল ইংল্যান্ডের একটি কলেজ থেকে মিউজিক এবং মিউজিক টেকনোলজির ওপর কোর্স করেন। কানাডায় স্থায়ী হওয়ার পর কোর্স করেন সাউন্ড ডিজাইনিংয়ের ওপর। এরপর মনোনিবেশ করেন গান তৈরিতে। বর্তমানে তিনি নিয়মিত শো করছেন ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশে।
২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় পাভেলের প্রথম একক অ্যালবাম ‘প্রেমের হাওয়া’। যেখানে একটি করে দ্বৈত গানে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন নির্ঝর ও নাউমী। এছাড়া ২০১৫ সালে নিজের দ্বিতীয় একক ‘খুঁজে দেখো না’ প্রকাশ করেন তিনি। যাতে লুইপা, নদী এবং কলকাতার মধুবন্তীর সঙ্গে একটি করে গানে কণ্ঠ দেন পাভেল। অ্যালবাম দুটির জন্য শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পান।
আরআইজে