আড়ালে থেকেই চিরবিদায় নিলেন শাঁওলি মিত্র
পশ্চিমবাংলার কিংবদন্তি নাট্যকার শাঁওলি মিত্র আর নেই। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সবার অলক্ষ্যেই নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই নাট্যকার। জানা যায়, বার্ধক্যজনিত কারণেই শাঁওলি মিত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
শাঁওলি মিত্র বাংলা, ইংরাজিসহ বিভিন্ন ভাষায় নাট্যজগতে কাজ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার পতনের সময়, অনেক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে মমতার হয়ে পথে নেমে শাসকের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ঠতা। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে সবার চোখের আড়ালেই ছিলেন।
শাঁওলি মিত্র শেষ ইচ্ছাপত্রে জানিয়ে গিয়েছিলেন, নশ্বর দেহের দাহকার্যের পরই যেন তার মৃত্যুর খবর সবাইকে জানানো হয়। সেই কথাই রেখেছে তার পরিবার। প্রয়াত এই নাট্য ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্যে বিশিষ্ট নাট্যকর্মী ও রাজনীতিক অর্পিতা ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
আজীবন বাংলা নাট্যজগৎ এবং সিনেমার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন শাঁওলি মিত্র। প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ সিনেমায় ‘বঙ্গবালা’র চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। তিনি অভিনয় করেছেন ‘বিতত বীতংস’, ‘ডাকঘর’, ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’র মতো একাধিক কালজয়ী নাটকে।
অভিনয়ের সুবাদেই তিনি ২০০৯-এ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। এছাড়াও সম্মানিত হয়েছেন সঙ্গীত-নাটক অ্যাকাডেমি (২০০৩) ও বঙ্গবিভূষণ (২০১২) সম্মানে। ২০১১ সালে রবীন্দ্র সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপারসন ছিলেন এই অভিনেত্রী।
আরআইজে