‘ব্যক্তিগত আক্রোশে’ কি ঢাবি কর্মচারীদের বরাদ্দ দেওয়া বাসা বাতিল?
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করে বাসা ভাড়া দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া বাসা বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা বিনতে মোস্তফা ও কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া বাসা বাতিল করা হয়েছে। যদিও তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বাসার বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত এসেছে। এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এবং বরাদ্দ দেওয়া বাসা ফিরে পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাদের বাসা ফিরিয়ে দিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন। উভয় স্মারকলিপির কপি এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া বাসায় ‘সাবলেট/ভাড়া দিয়ে থাকার অভিযোগ’ এনে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি অবজারভার’-এ একাধিক খবর প্রকাশিত হয়। ফলে তদন্তে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস। তদন্তে আড়াই শতাধিক ফ্লাটে সাবলেট/একটি/দুটি কক্ষ বা সম্পূর্ণ বাসা ভাড়া দিয়ে রাখার তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে ৪৯টি বাসা সম্পূর্ণ ভাড়া এবং প্রায় ২০০টি বাসার একটি বা দুটি কক্ষ ভাড়া দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ নীলক্ষেত কোয়ার্টারের ৭৩ নম্বর বাসার ‘জে’ ফ্ল্যাটে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন মিজানুর রহমান। দুই মেয়েকে দুই কক্ষে থাকতে দিয়ে নিজে বারান্দায় ঘুমাতেন। বাসাটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে— এমন খবর পেয়ে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে রাত ১২টার পরে সেখানে তদন্তে আসেন এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মোস্তফা ও সেকশন অফিসার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ সময় মিজানুর রহমানের মেয়েকে এস্টেট ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কী কর? জবাবে সে বলে, পড়াশোনা করি। এরপর এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা কিছু জিজ্ঞাসা না করেই চলে যান। অথচ তাদের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষার্থী’ দেখিয়ে গত ১৬ মে বরাদ্দ দেওয়া বাসা কেন বাতিল করা হবে না— এই মর্মে লিখিত জবাব চান
গত ২৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে জবাব চাওয়া হয়। ঘটনার বিবরণসহ জবাব দেওয়ার পর ১৫ মে সম্পূর্ণ বাসা ভাড়া দেওয়া ৪৯টি বাসার বরাদ্দ বাতিল করা হয়। তাদেরকে বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতেও বলা হয়। বাকি প্রায় ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা বাসার একটি বা দুটি কক্ষ সাবলেট দিয়েছিলেন তাদের সতর্ক করা হয়।
তবে বরাদ্দ বাতিল হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, ৪৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই পুরো বাসা ভাড়া দেননি। তাদের কেউ কেউ একটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন, আবার কেউ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের বক্তব্য হলো, কারও কারও সন্তানকে ‘ভাড়াটিয়া’ হিসেবে উপস্থাপন করে শুধুমাত্র ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে’ বরাদ্দ দেওয়া বাসা বাতিলের জন্য সিন্ডিকেটে ফাইল পাঠায় কতিপয় এস্টেট কর্মকর্তা। তাদেরই যোগসাজশে বরাদ্দ পাওয়া বাসা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মানেন না।
আরও পড়ুন
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় এমন কয়েকজন ভুক্তভোগীর। তারা জানান, বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ পাওয়া অন্তত ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনও তাদের ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে আবার নোটিশ দিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে তাদের বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া বাসায় ‘সাবলেট/ভাড়া দিয়ে থাকার অভিযোগ’ এনে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি অবজারভার’-এ একাধিক খবর প্রকাশিত হয়। ফলে তদন্তে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস। তদন্তে আড়াই শতাধিক ফ্লাটে সাবলেট/একটি/দুটি কক্ষ বা সম্পূর্ণ বাসা ভাড়া দিয়ে রাখার তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে ৪৯টি বাসা সম্পূর্ণ ভাড়া এবং প্রায় ২০০টি বাসার একটি বা দুটি কক্ষ ভাড়া দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়
তাদের অভিযোগ, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাসায় তদন্তে যাবার আগে এস্টেট অফিস থেকে বলা হয় যে, আমরা অমুক তারিখে বাসায় তদন্তের জন্য যাব। আপনার বাসা আপাতত খালি করে রাখবেন, যাতে আমাদের নজরে না আসে। এমনও দেখা গেছে, একাধিক কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন— এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। আবার কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ‘ভাড়াটিয়া’ দেখিয়ে তাদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের বাসার বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
দক্ষিণ নীলক্ষেত কোয়ার্টারের ৭৩ নম্বর বাসার ‘জে’ ফ্ল্যাটে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন মিজানুর রহমান। দুই মেয়েকে দুই কক্ষে থাকতে দিয়ে নিজে বারান্দায় ঘুমাতেন। বাসাটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে— এমন খবর পেয়ে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে রাত ১২টার পরে সেখানে তদন্তে আসেন এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মোস্তফা ও সেকশন অফিসার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ সময় মিজানুর রহমানের মেয়েকে এস্টেট ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কী কর? জবাবে সে বলে, পড়াশোনা করি। এরপর এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা কিছু জিজ্ঞাসা না করেই চলে যান। অথচ তাদের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষার্থী’ দেখিয়ে গত ১৬ মে বরাদ্দ দেওয়া বাসা কেন বাতিল করা হবে না— এই মর্মে লিখিত জবাব চান।
মিজানুর রহমান অভিযোগ করে জানান, লিখিত জবাব দেওয়া হলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা। বরং তার বাসাও বাতিলের খাতায় রাখেন। অথচ তিনি বাসা ভাড়া দেননি এবং বাসায় তার যে দুই মেয়ে থাকে, বিষয়টি দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার প্রায় সবাই জানেন। এ প্রতিবেদককেও তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, ৪৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই পুরো বাসা ভাড়া দেননি। তাদের কেউ কেউ একটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন, আবার কেউ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের বক্তব্য হলো, কারও কারও সন্তানকে ‘ভাড়াটিয়া’ হিসেবে উপস্থাপন করে শুধুমাত্র ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে’ বরাদ্দ দেওয়া বাসা বাতিলের জন্য সিন্ডিকেটে ফাইল পাঠায় কতিপয় এস্টেট কর্মকর্তা। তাদেরই যোগসাজশে বরাদ্দ পাওয়া বাসা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
একই আবাসনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে জানান, তাকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি ওঠার সুযোগ পান জানুয়ারির ২৩ তারিখ। এই দুই মাস এক সহকারী এস্টেট ম্যানেজার ও এক সেকশন অফিসার অন্য একজনকে বাসাটি ভাড়া দিয়ে রাখেন। ওই দুই মাসের ভাড়া বাবদ তাকে টাকা দেওয়ারও অফার করেন তারা। তবে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
এর কিছুদিন পর এক সহকর্মী নিজ মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তার বাসায় দুই মাস থাকার আবদার করেন। তিনি থাকতে দেন। এ অবস্থায় হঠাৎ এক দিন এস্টেট ম্যানেজারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। তাকে বাসায় না পেয়ে ‘বাসা ভাড়া দেওয়া হয়েছে’ বলে নোটিশ জারি করা হয়। এ সময় তার শাশুড়ি বাসায় অবস্থান করছিলেন। যদিও ভুক্তভোগী তার সহকর্মীর কাছ থেকে বাসা ভাড়া বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি। পরে তিনি নোটিশের লিখিত জবাব দিলেও তা আমলে নেননি ফাতেমা। তার বাসার বরাদ্দও বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন
এদিকে, বরাদ্দ পাওয়া বাসা বাতিল করায় এখন কোথায় থাকবেন, এত খরচ কীভাবে বহন করবেন— এসব ভেবে স্ট্রোক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. নাসির উদ্দিন। তিনি কাউকে ভাড়া দেননি, একাই থাকতেন বাসায়।
ঢাবি এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও করেন কেউ কেউ। তারা জানান, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা পরিচিতদের বাসায় অভিযান পরিচালনা করতেন না। মিনি টাওয়ার নামে পরিচিত ভবনে তারা অভিযান চালাননি। অথচ সেখানকার অন্তত ৬০ শতাংশ বাসায় ফুল/একটি/দুটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আবার অধিকাংশ সেকশন অফিসার ও এস্টেট কর্মকর্তারা উত্তর নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় থাকেন। সেখানেও অভিযান চালানো হয়নি। যেখানে অভিযান পরিচালিত হয়েছে সেখানে আগে থেকেই সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে রাখা হয়। তারা যাতে বাসা খালি রাখতে পারেন। এসব অনিয়ম ‘ব্যক্তিস্বার্থে অন্যকে হয়রানির উদ্দেশ্যে করা’ বলে তাদের মন্তব্য। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে ‘এস্টেট ম্যানেজারের ঘাটতি’ রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে ভুক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, আমরা এস্টেট অফিসকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই লিখিত জবাব দিয়েছি। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ একটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন, সম্পূর্ণ বাসা ভাড়া দেননি কেউ। তদন্তে ‘স্বজনপ্রীতি ও ব্যক্তিগত আক্রোশ’ উপস্থিত ছিল— উল্লেখ করে তারা আরও লেখেন, ‘আমাদের জানামতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে দুটি কক্ষ ভাড়া দেওয়ার পরও তাদেরকে কোনো পত্র দেওয়া হয়নি। একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়ার জন্য যদি বাসা বাতিল হয়, তাহলে দুটি কক্ষ ভাড়া থাকা অবস্থায় তারা বাতিলের পত্র না পাওয়ায় আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এমনকি তদন্তের সময় একাধিক বরাদ্দকৃতরা অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরে তাদের বাসা আগেই খালি করে ফেলেন। অনেকের বাসায় এখনও তদন্ত হয়নি।’
উপাচার্য বরাবর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতেও প্রায় অনুরূপ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে যেসব কর্মকর্তা/কর্মচারী আর্থিকভাবে অসচ্ছল শুধু তারাই একটি কক্ষ ভাড়া দিয়ে কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন বলে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়, মনগড়া ও ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে সব এলোটির ঢালাওভাবে বাসা বাতিল করা হয়েছে তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং তাদের ক্ষমা করে দিয়ে বাসার বরাদ্দ বহাল রাখার অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা বিনতে মোস্তফা বলেন, ‘এখনও সব বাসায় তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। আমরা যেসব বাসায় তদন্ত করেছি সেসব বাসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে। বছরজুড়ে সব বাসায় তদন্ত করা হবে এবং সবার বেলায় একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে, আপনি যে নেতিবাচক দিকগুলো বলছেন সেগুলোর কোনোটাই সত্য নয়। এসব তথ্য ফোনে দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই আমাদের কাছে। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরও-এর মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন দিলে আমরা সব তথ্য দিয়ে দেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বাসা বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নীতিমালায় বলা আছে, একটি কক্ষ সাবলেট দিলেও তাদের বরাদ্দ বাতিল হবে। তবে, সিন্ডিকেট তাদেরকে কেন শোকজ করেছে জানা নেই। এ বিষয়ে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন বিষয়টি উপাচার্যের হাতে রয়েছে। যখন এ সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি নিজেই ছুটিতে ছিলাম। ঢাকায় আসার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন।’
ফাতেমা বিনতে মোস্তফার তদন্তে ঘাটতি রয়েছে— এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা তদন্ত হয়েছে, কিছু ভুল থাকতে পারে। উপাচার্য হয়তো বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নতুন কমিটি দিতে পারেন। তখন সেই কমিটি তার অবহেলা বা কেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসা বাতিল হলো, সেই বিষয়ে দেখবে। এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল কি না বা তদন্তে অবহেলা ছিল কিনা, নতুন কমিটি হলে তারা বিষয়টি দেখবে।’
কেএইচ/এমএআর/