দায়িত্বের কাছে তুচ্ছ তাদের প্রাণ
মহাকালের অমোঘ নিয়মে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে। পার হয়েছে ২০২০ সাল। বিদায়ী বছরে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশকেও বিপর্যস্ত করেছে ভাইরাসটি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক, পুলিশ, রাজনীতিবিদ, এমপি-মন্ত্রীসহ মারা গেছেন হাজারও মানুষ। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে প্রস্তুতির পর টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও এখনও লড়তে হচ্ছে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে।
গেল বছর মার্চের ৮ তারিখে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ব্রিফিংয়ে সর্বপ্রথম জানানো হয় বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর। তখন তিনজন রোগীর শনাক্তের কথা বলা হয়। ২৬ মার্চ দেশে যখন লকডাউন শুরু হয়, তখন মাত্র ৩৯ জনের রোগ শনাক্ত হয়। ওই সময় পর্যন্ত মারা যান মাত্র পাঁচজন।
মানুষের মধ্যে দেখা দেয় ভয়, আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। বেশি সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন করণীয় বিষয় নিয়ে ঘোষণা আসতে থাকে।
বছরের মাঝামাঝি সময় করোনার সংক্রমণ কমলেও তা আবারও বাড়তে থাকে। বড় হতে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ রোধে সবাইকে বারবার হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর মুখে মাস্ক পরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মোট কথা, ভাইরাসটি মানুষের কাছে বিরাট এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়ায়।
অসম যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীরা
করোনা মোকাবিলায় পুরো বিশ্বই যখন বিপর্যস্ত, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে শুরু করেন চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে তারা দিন-রাত করোনার রোগীদের সেবা দিতে শুরু করেন। ভয়াবহ এ মহামারির বিরুদ্ধে টানা যুদ্ধ করতে গিয়ে সম্মুখযোদ্ধাদের অনেকেই আজ পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ৮ মার্চ থেকে শুরু হলেও মৃত্যু শুরু হয় ১৮ মার্চ থেকে। ১৫ এপ্রিল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দীন আহমদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চিকিৎসকদের মৃত্যুর মিছিল শুরু। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেনিনসহ এখন পর্যন্ত ১২৫ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন ৪৫ জন।
এছাড়া দেশব্যাপী কয়েক হাজার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী করোনা অথবা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য মতে, ঢাকা বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ৮৩১ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। নার্স আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৩ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্টাফ আক্রান্ত হয়েছে ৪৬০ জন।
দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতেও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯২ জন চিকিৎসক, নার্স আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী মোট ৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সিলেট জেলা ও মহানগরীতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৪৯, ৮৩ ও ১১৩ জন। রাজশাহী জেলা ও মহানগরীতে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে চার, দুই ও পাঁচজন। খুলনা জেলা ও মহানগরীতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ২৫, ৩৫ ও ৫২ জন। রংপুর জেলা ও মহানগরীতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩৫, ২৬ ও ২২ জন। ময়মনসিংহ শহরে ১২৩, ১৬৪ ও ১৪০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
ক্ষতিপূরণ কত দূর?
করোনাবিরোধী লড়াইয়ে কেউ আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে তাদের জন্য প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। তবে, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মহামারিকালে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে যেসব চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, দ্রুত তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। মারা যাওয়া সরকারি চিকিৎসকের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সরকার ঘোষিত অর্থ পেয়ে যাবেন তারা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘করোনার সময় চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। তাদের প্রতি অবশ্যই আমাদের সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। বিশেষ করে যেসব চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের অতিদ্রুতই প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
আমরা যদি আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করি, তাহলে আগামী দিনে আমাদের কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি মনে করি, সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য যা যা দরকার, তা-ই করা উচিত। বেসরকারি পর্যায়ে সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের আসলে প্রণোদনা দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রের কত টাকাই তো কতভাবে ব্যয় হয়ে যায়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির
রাষ্ট্রের কাজে প্রাণ বিসর্জনে ক্ষতিপূরণ দুই কোটি টাকা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত এ মহাপরিচালক।
জানতে চাইলে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে ক্ষতিপূরণের কোনো বিষয় নয়, চিকিৎসকদের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকদের প্রণোদনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। আমাদেরও শহীদ চিকিৎসকদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে। তাদের তো নামমাত্র কিছু দিলে হবে না। চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক, তাই সরকার ও আমরা চেষ্টা করছি।
স্মরণীয় হয়ে থাকবেন যেসব চিকিৎসক
করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম চিকিৎসক হিসেবে গত ১৫ এপ্রিল মারা যান সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন। এরপর একে একে মৃত্যুবরণ করেন আরও ১২৪ জন চিকিৎসক। তারা হলেন, অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. মো. মনিরুজ্জামান, ডা. আনিসুর রহমান, মেজর (অব.) ডা. আবুল মোকারিম মো. মোহসিন উদ্দিন, ডা. মো. আজিজুর রহমান রাজু, ডা. এম এ মতিন, ডা. কাজী দিলরুবা, ডা. এস এম জাফর হোসাইন, ডা. আমিনা খান, ডা. আব্দুর রহমান।
ডা. মো. মোশাররফ হোসেন, ডা. এ এফ এম সাইদুল ইসলাম, ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ বাবলু, ডা. মনজুর রশিদ চৌধুরী, ডা. এ এস এম এহসানুল করিম, অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন, ডা. কে এম ওয়াহিদুল হক, অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, ডা. মুহিদুল হাসান, অধ্যাপক ডা. এন আই খান, অধ্যাপক ডা. এস এম এ গোলাম কিবরিয়া, ডা. এহসানুল কবির চৌধুরী, ডা. আবুল কাশেম খান, ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন, ডা. রাজিয়া সুলতানা।
ডা. সাখাওয়াত হোসেন, ডা. আবু বকর সিদ্দিক, ডা. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ডা. জালিলুর রহমান, ডা. তানজিলা রহমান, অধ্যাপক ডা. গাজী জহিরুল হাসান, ডা. মাহমুদ মনোয়ার, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, ডা. আরিফ হাসান, ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ডা. সাদেকুর রহমান, ডা. তৌফিকুন নেছা, ডা. আ ন ম আব্দুল হাই, অধ্যাপক ডা. এ কে এম মুজিবুর রহমান, ডা. মো. আশারুজ্জামান।
ডা. মো. শাহ আব্দুল আহাদ, ডা. মো. নুরুল হক, ডা. মো. রফিকুল হায়দার লিটন, ডা. মো. এমদাদুল্লাহ খান, ডা. মো. শফিক আহমেদ, ডা. মুজিবুর রহমান রিপন, ডা. মো. বজলুর রহমান, ডা. সুনীল কুমার সরকার, ডা. ললিত কুমার দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আলী আজগর, ডা. উপেন্দ্র নাথ পাল, ডা. মো. ইউনুস আলী খান, ডা. মো. সমিরুল ইসলাম বাবু, ডা. এস এম সাইফুল ইসলাম, ডা. ফিরোজ বানু মিনু।
ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডা. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. গোলাপ শংকর দে, অধ্যাপক ডা. গোলাম সারোয়ার, ডা. মো. রুহুল আমিন, অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব, অধ্যাপক ডা. কে এম মুনতাকিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুল আনোয়ার, ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ডা. সুলতান লতিফা জামান আইরিন, ডা. এস এম নুর উদ্দিন আবু আর বাকী রুমি, ডা. আবদুল হামিদ, ডা. কোহেল করিম (কুহু), অধ্যাপক ডা. আবুল হোসাইন খান চৌধুরী, বিগ্রে. জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ।
ডা. বদিউজ্জামান হীরা, অধ্যাপক ডা. টি আই এম আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ডা. নারগিস মুর্শিদ বানু, ডা. মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (তাসলিম), ডা. এফ বি এম আব্দুল লতিফ, ডা. মো. গোলাম মোস্তাফা, ডা. রেজোয়ানুল বারী শামীম, অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফা হোসেন আনসারী, অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল হক খান, ডা. আফতাম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মোহা. আব্দুর রহমান, ডা. সৈয়দ আখতার হোসেন, ডা. এ বি এম সিদ্দিকুল ইসলাম, ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল মতিন পাটোয়ারী।
ডা. বি এম ফারুক, ডা. শামসুন নাহার বেলা, অধ্যাপক ডা. এ এফ এম সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর, অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া রওশন আরা বেগম, ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী, ডা. মো. ওবায়দুল রহমান, ডা. মো. হেদায়েতুল ইসলাম, ডা. মুহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. মির্জা আজহারুল ইসলাম, ডা. কাউসার আহমদ মজুমদার, ডা. রমেশ চন্দ্র নাথ, ডা. মো. খলিল উদ্দিন, ডা. এ কে এম মাসুদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সেলিম আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল, ডা. সৈয়দ সাজ্জাদ কামাল হিরু, ডা. নাসির উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আলী আকবর বিশ্বাস, ডা. এ বি এম মাকসুদুল সালেহীন, ডা. মো. রেজাউর রহমান প্রধান, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. আ জ ম শফিউল আলম শাহ, ডা. বশরা সারওয়ার, ডা. মুজিবুর রহমান খান হীরা, ডা. এ কে এম শামসুল হক, ডা. আইরিন পারভীন, ডা. সাইদুল ইসলাম, ডা. রাশেদ সারওয়ার আলম রনি, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কাদির খান।
ডা. গাজী শফিকুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আব্দুল, মুকিত সরকার, ডা. মো. হাসান মুরাদ, ডা. মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, ডা. মো. আনোয়ারুল করিম বাবুল, ডা. শেখ সায়েম, অধ্যাপক ডা. এ কে এম শামসুল হক ও অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেনিন।
এছাড়া গত ১৪ জুন ডেন্টাল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম এবং ২৯ জুন ডা. সৈয়দ তমিজুল আহসান রতন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পৃথিবীজুড়ে মহামারিতে রূপ নেয়। বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সারাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন। সংক্রমণের দিক থেকে প্রতি ১০০ জনে ১৫.৯১ জন। যদিও গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে গড় সংক্রমণ ১২ শতাংশের উপরে ওঠেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী (২ জানুয়ারি) দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৫৯৯ জনে। মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন।
টিআই/এমএইচএস/এমএআর/ওএফ