মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকরাও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন : স্বাস্থ্য সচিব

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন চিকিৎসকরা সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চিকিৎসকদের সাহসী ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত এ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব হিসেবে আমি গর্বিত।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সচিব বলেন, চিকিৎসা সেবা সক্রিয় না থাকলে কোনো যুদ্ধেই জয় লাভ করা যায় না। তবে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি, হাসপাতালগুলোতে সেবা বাড়াচ্ছি।
এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমাদের ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অনেকেই জানেন না। সুতরাং মানুষকে জানানোর জন্য এসব ইতিহাস সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা হওয়ার পেছনে মূল অনুপ্রেরণা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। সে সময় চিকিৎসকরা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যে ভূমিকা রেখেছেন, এটি আমাদের চিকিৎসক সমাজের জন্য গর্বের বিষয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আলোচনাসভায় অংশ নেন।
টিআই/এসকেডি