উপাচার্যের আশ্বাসে রাস্তা ছাড়লেন চিকিৎসকরা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
রোববার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর শাহবাগ-সায়েন্স-ল্যাবমুখী রাস্তা ছাড়েন আন্দোলনকারীরা।
বিকেল ৪টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন চিকিৎসকদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সেখান থেকে ফিরে এসে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদের লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন আগামী সাত দিনের মধ্যে সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সুখবর জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য স্যারের আশ্বাসে আমরা এখন রাস্তা ছাড়ছি। তবে প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
এর আগে মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা, বকেয়া পরিশোধ ও নিয়মিত ভাতা প্রদানের দাবিতে আজ সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ফলে প্রায় ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শাহবাগ-সায়েন্সল্যাবমুখী রাস্তা। বিকেল ৫টার পর আবারও সচল হয়েছে যান চলাচল।
শিগগিরই সুখবর : চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ভিসি
এদিকে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা সকলেই সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুসংবাদ দিতে পারব।
উপাচার্য বলেন, ভাতার দাবিতে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন। এই টাকা সরকারের কাছ থেকে আসে। সরকার টাকা দিলে আমরা তাদের দিয়ে দিই। আমরা সরকারের কাছে তাদের ভাতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। সরকার এটি পর্যবেক্ষণ করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। সব কিছুর জন্য সময় লাগে। কিন্তু তারা তা মানছে না। গতকাল তারা ঘোষণা দিল, আজকে সকালে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। এখন বলছে তারা যাবে না। এই বিষয়গুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতিতে থাকার ঘোষণা চিকিৎসকদের
বিকেলে শাহবাগ-কাঁটাবন সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রেইনি চিকিৎসক জুনায়েদ আহমেদ বলেছিলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি। শুধুমাত্র আশ্বাস দেওয়া ছাড়া কিছুই করা হচ্ছে। এবার আমরা আর আশ্বাসে ঘরে ফিরব না। প্রজ্ঞাপন জারি করে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি ও আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমানও থাকবে।
এইচআর/এসকেডি