কোরিয়ান প্রযুক্তিতে দেশেই হবে ‘অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজি’ চিকিৎসা

মুখের ব্রণ, ত্বকের দাগ, রোদে পোড়া দাগ, এজিংসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সারাবিশ্বে জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি ‘অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজি। বাংলাদেশে অত্যাধুনিক এই চিকিৎসা না থাকায় প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান। তবে এখন থেকে কোরিয়ান প্রযুক্তিতে দেশেই হবে অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজি চিকিৎসা। এ লক্ষ্যে দেশে যাত্রা শুরু করেছে কোরিয়ার জনপ্রিয় ডার্মাস্টার ক্লিনিকের।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কোরিয়ান বিউটি ওয়ার্ল্ড লিমিটেড আয়োজিত ডার্মাস্টার ক্লিনিকের বাংলাদেশ শাখার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডার্মাস্টার চেইন অব ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসথেটিক অ্যান্ড অ্যান্টিএজিং মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট ডা. জিং কুয়ং। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মইনুল ইসলাম, কোরিয়ান পরিচালক চো চোন হো।

এসময় ডা. জিং কুয়ং বলেন, আমরা জেনেছি বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অ্যাসথেটিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেমন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে চিকিৎসার জন্য যায়। ডার্মাস্টার বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ উদ্বোধনের মাধ্যমে এখন থেকে দেশের মানুষ স্বল্প খরচে দেশের টাকা দেশে রেখে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাসথেটিক সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজি নিয়ে আমরা এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশেই কাজ করছি। বাংলাদেশে এই প্রথম এসেছি।
ডার্মাটোলজিস্টদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি আমাদের টেকনিকগুলো রোগীদের ওপর পুরোপুরিভাবে প্রয়োগ করেন, নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল আসবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মইনুল ইসলাম বলেন, অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজির চিকিৎসা উন্নত প্রায় সবগুলো দেশেই আছে। বছরে প্রায় ৯ লাখের অধিক মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশে যায়, এরমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ থাকে অ্যাসথেটিক চিকিৎসা বিষয়ক। অ্যাসথেটিক চিকিৎসাটা এরকম নয় যে, একবার গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে চলে আসলেন আর ভালো হয়ে গেলেন। চিকিৎসার একটা সুনির্দিষ্ট সেশন থাকে যে, একমাস, দুইমাস বা তিনমাস পর আবারো গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি তো চাইলেই একা গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আসতে পারেন না, এক্ষেত্রে সাপোর্টিভ আরও একজনকে সঙ্গে যেতে হয়। এভাবে বারবার গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আসাটা খুবই ব্যয়বহুল। এতে করে দেশ থেকে প্রতি বছর বড় একটা অংকের টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ডার্মাস্টার ক্লিনিক হলো ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের একটি ক্লিনিক। বিশ্বের ৫৭টি দেশে এর শাখা রয়েছে। তাদের একটা শাখা এবার বাংলাদেশে এসেছে, যেন বাংলাদেশের রোগীদের আর দেশের বাইরে যেতে না হয়। এমনকি, উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষই যেন এই সেবার আওতায় আসতে পারে।
টিআই/এমএ